রাশিদ রিয়াজ : [২] এসব ড্রোন যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এফ-৩৫ ও বি-২১ বোমারু বিমানের চারপাশে স্কট করে রাখবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে একই সঙ্গে বিমান বহরের পাশাপাশি থেকে এসব ড্রোন পাল্টা শত্রু বিমান বা ভূমিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
[৩] পেন্টাগন ৬ বিলিয়ন ডলারের এ ড্রোন তৈরির প্রকল্পের নাম দিয়েছে কোলাবোরাটিভ কমব্যাট এয়ারক্রাফট বা সিসিএ। [৪] বোয়িং, লকহিড মার্টিন, নরথর্প গ্রুমম্যান, জেনারেল এ্যাটোমিক্স ও এ্যান্ডুরিল ইন্ডাস্ট্রিজ যৌথভাবে তৈরি করবে এসব ড্রোন। [৫] মার্কিন বিমান বাহিনী চাচ্ছে তাদের বৈমানিকরা যখন জঙ্গি বিমান নিয়ে যুদ্ধে ছুটবে তখন সেগুলোর চারপাশে থাকবে একাধিক ড্রোন। যেগুলো আক্রমণ, প্রতিরোধ ছাড়াও একই সঙ্গে নজরদারি ও যোগাযোগ কেন্দ্রের সঙ্গে সমানতালে সম্পর্ক রেখে চলবে। [৬] ফাদারল্যান্ড আরসেনাল ইন্টারনেট পোর্টালের সামরিক বিশ্লেষক ও চিফ এডিটর ডিমিত্রি ড্রোশেঙ্কোর মতে এ ধরনের ধারণা মোটেও নতুন কিছু নয়। গত অক্টোবরে ফ্লোরিডার বিমান বাহিনী এধরনের ড্রোন সহ জঙ্গি বিমানগুলোর এক মহড়া চালিয়ে এক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে দেখেছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন ব্যবহার ড্রোনের সক্ষমতাকে অনেকগুণ বৃদ্ধি করে।
[৭] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এধরনের ড্রোন রাশিয়া আগেই তৈরি করেছে যার নাম দেওয়া হয়েছে থান্ডার। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধ কৌশলের নতুনত্ব হচ্ছে প্রথমে ড্রোন বহর শত্রু পক্ষের বিমান প্রতিরোধ বুহ্য ধংস করবে। এর পাশে থেকেই বৈমানিক পরিচালিত জঙ্গি বিমানগুলো চূড়ান্ত আঘাত হানবে।