বিদেশী ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশি ফলের দাম
মাসুদ মিয়া: [১] রমজানে চাহিদা বাড়ায় বিদেশী ফলের দাম সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশি ফলের দাম। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। প্রতি কেজি ফলের দাম গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফলের মধ্যে তরমুজের কেজি ৭০-৮০ টাকা, বলসুন্দরি বরই ১০০-১২০ টাকা ও আপেল বরই ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই দিন আগে তরমুজের দাম ছিল ৬০ টাকা, বলসুন্দরি বরই ১০০ টাকা ও আপেল বরই ৮০-১০০ টাকার মধ্যে। প্রতিটি ফলের দামই ১০-২০ টাকা বেড়েছে বলে জানান ফল ব্যবসায়ীরা। [২] রোজায় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই তুলনায় আমদানি নেই। যে কারণে ফলের দাম বেড়ে গেছে। বিদেশী ফলের দামও বেড়েছে আপেল বিক্র হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা আঙ্গুর ২৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। মালটার দামও বেড়েছে।
[৩] এদিকে বাজারে খুচরা পর্যায়ে শবরি কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায়, বাংলা কলা ১০০ টাকায়, চাঁপা (চম্পা) কলা ৭৫ টাকায় ও সাগর কলা ১৪০ টাকায়। কলার দামও প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।
[৪] বিক্রেতারা জানান, দুই দিন আগে শবরি কলার ডজন ছিল ১০০-১২০ টাকা, বাংলা কলা ৮০ টাকা, চাঁপা ৬০ টাকা ও সাগর কলা ১২০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজার থেকে আমরা যখন কিনি তখন সেখান থেকেই খুচরা পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আমরাও সেই দামেই বিক্রি করি। রমজানের বাড়তি চাহিদার কারণে অনেক ফলই কাঙ্ক্ষিত দামে কিনতে পারা যায়নি।
বেল প্রতি পিস আকারভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আকারে একটু ছোট হলে ৬০-৮০ টাকা। আর কদবেলের পিস ৫০ টাকা। এছাড়া থাই পেয়ারার দাম ৮০-১০০ টাকা কেজি ও দেশি পেয়ারা ১০০-১২০ টাকা। দুদিন আগে ছিল থাই পেয়ারার দাম ৭০-৯০ টাকা ও দেশি পেয়ারা ৮০-১০০ টাকা।।
[৫] খেজুরের সর্বনিম্ন দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে জাতভেদে প্রায় দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে জাহিদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ২০০-২৮০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, আজুয়া খেজুর এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে রোজাকে ঘিরে লেবু, বেগুন ও শসার দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলছে। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই। [৬] এবিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে আরো কঠোর আইন করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। প্রতি বছরই রমজানকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে নিত্যপণ্যেও দাম কমার হিড়িক থাকলেও দেশে বাড়ার হিড়িক রয়েছে। এদিকে রোজায় চিনি, খেজুর, সয়াবিন তেল, ছোলাসহ ইফতারসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদের ডালের চাহিদা বেড়ে যায়। এ বছর এসব পণ্যের প্রায় সবগুলোর দামই চড়া। এর মধ্যে চিনি ও তেলের দাম এক বছরের বেশি সময় ধরে বাড়তি। তার সঙ্গে রোজাকে সামনে রেখে এবার খেজুর, ছোলা ও ডালের দামও বেড়ে গেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ, বেগুন, শসা ও লেবুর দামও চড়া। বিদেশি ফলের দাম নাগালের মধ্যে নেই। তাতে ইফতার আয়োজনে সাধারণ মানুষকে এবার খরচ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।