চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক: [১] পণ্য পরিবহনসহ কোনো সেক্টরে চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
[২] গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা জানান।
[৩] আইজিপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
[৪] তিনি এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ও পণ্যবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
[৫] আইজিপি বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে কোনো ইস্যু তৈরি করে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
[৬] পুলিশপ্রধান বলেন, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হবে।
[৭] আইজিপি পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশনা দেন।
[৮] বাসের ছাদে বা ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি।
[৯] আইজিপি বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
[১০] সভায় আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
[১১] সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[১২] এছাড়া র্যাব, এটিইউ, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, নৌ পুলিশের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ডিআইজি (এফডিএমএন), সব জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিট নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।