এবার শজিমেক হাসপাতাল মসজিদে ইফতার স্থগিত, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বগুড়া প্রতিনিধি : [১] বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইফতার কার্যক্রম স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার দুপুরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর ছাড়াই মসজিদের দেয়ালে দুটি স্থগিতাদেশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।
[২] মসজিদে সাঁটিয়ে দেওয়া স্থগিতাদেশে লেখা আছে, সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় অদ্য ১৪ মার্চ থেকে শজিমেক ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইফতার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এই স্থগিতাদেশের পর থেকে শজিমেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতাল স্টাফদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিবাদ স্বরূপ আজ ক্যাম্পাসে খেলার মাঠে বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী নিজ উদ্যােগে গণ-ইফতারের আয়োজন করে।
[৩] জানা যায়, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটি কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিজ অর্থায়নে এবার রমজানে মাসব্যাপী মুসল্লিদের ইফতার করানোর ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় রমজানে মসজিদে আসা কলেজ শিক্ষার্থী, হাসপাতাল স্টাফ ও সাধারণ মুসল্লিদের ইফতারও করানো হয়। তবে আজ তৃতীয় রমজানে দুপুরের দিকে হঠাৎ সরকারি বিধিনিষেধের কারণ দেখিয়ে ইফতার স্থগিত করা হয়।
[৪] শজিমেকের ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত মণ্ডল বলেন, কলেজের শিক্ষক ও হাসপাতাল প্রশাসনের উদ্যােগে পুরো রমজানজুড়েই কেন্দ্রীয় মসজিদে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মুসল্লি প্রথম দুই রোজায় ইফতারে অংশ নেয়। আজ হঠাৎ সরকারি বিধিনিষেধের কারণ দেখিয়ে স্থগিতাদেশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শিক্ষার্থীরা সবাই ক্ষোভ জানিয়ে খেলার মাঠে গণ-ইফতার করেছি।
[৫] বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মসজিদ কমিটি থেকে মাসব্যাপী ইফতার আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। উনারাই আবার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। সরকারি বিধিনিষেধের বিষয়ে কিছু জানি না।
[৬] এ বিষয়ে জানতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
[৭] এছাড়াও মসজিদ কমিটির সভাপতি ডা. আসাফুদৌল্লাহ মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ত আছেন বলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন নিষেধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ।