রমজানে বেগুন আর পিয়াজ আলোচনায় নেই, আছে খেজুর
এমডি আলী জামান
রমজান উপলক্ষে কর ছাড় দেয়ার পরেও এর দাম বিন্দুমাত্র কমেনি।অথচ মানুষ দেদারছে কিনছে।
প্রশ্ন উঠেছে, খেজুর বিলাসী পণ্য কি- না? এক হাজার টাকার উপরে যে খেজুরের দাম,তা অবশ্যই বিলাসী পন্য। ২৫০০ টাকা কেজি দামেরও খেজুর আছে। যারা এই দামে খেজুর কিনতে পারে, তারা বর্ধিত ট্যাক্স- ভ্যাটও দিতে সক্ষম। বিলাসী পণ্য হিসেবে সাপ্লিমেন্টারী ডিউটি বসানোও অযৌক্তিক হবে না…
রমজান নাকি সংযমের মাস।সাধারণ মানের খাওয়া,সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করাই রমজানের শিক্ষা। কিন্তু বাস্তবে কি দেখা যাচ্ছে? হতদরিদ্র মানুষগুলো চাল পানি দিয়ে ইফতার করে, এরপরে একবারে ভাত খেয়ে নেয়।
আর্থিকভাবে একটু সামর্থবানদের জন্য রমজান হলো খাবার মাস। যত রকম মুখরোচক খাবার দুনিয়ায় আছে, সবই খেতে হবে ইফতারে। তারপর রাতের খাওয়া। সেখানে ভূরিভোজন চাই। সন্ধার পর থেকে শুরু হয়ে সেহরী পর্যন্ত শুধু খাওয়া আর খাওয়া। এখন আবার সেহরী পার্টিও হচ্ছে।
এই যদি নমুনা হয়, তাহলে চাহিদা কি পরিমানে বেড়েছে,তা সহজে অনুমান করা যায়। আর চাহিদা বাড়লে- দামও বাড়বে, সেইটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে হা- হুতাশ করা অর্থহীন। লেখক : ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প এসোসিয়েশনের সভাপতি