সরকারি সংস্থাই সিন্ডিকেট করে পাবলিকে করলে দোষ কি
এমডি আলী জামান
সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব আছে কিনা, বা তা ভাঙা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। সরকার কি সক্ষম এই কথিত সিন্ডিকেট ভাঙতে বা সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে?
বাস্তবে সরকার এদের বিরুদ্ধে কোন ফলপ্রসু ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কারণ, সেইটা করতে গেলে সরকারের নিজস্ব উৎপাদন, বিপণন তথা নূন্যতম সরবরাহ ব্যবস্থা থাকতে হয়।
এক্ষত্রে সরকারী সংস্থা টিসিবি যদি কার্যকর ভূমিকা নিতে পারতো, তবে ফল মিলতো।
কিন্তু এই টিসিবি তো আমদানি বা উৎপাদন করে না। বাজারের কথিত সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছ থেকেই পণ্য কিনে ভর্তুকি দিয়ে ট্রাকে বা ডিলারের কাছে বিক্রি করে। টিসিবি’র অনেক লোকসান হয়েছে তাতে। এখনো হচ্ছে।
সুগার কর্পোরেশনের চিনি গোডাউনে যখন নষ্ট হয়, তখন পাবলিকের কাছে খুচরা বেচে। এখন ক্রাইসিস পিরিয়ডের সময় ব্লাকে বিক্রি করে দেয়। পাবলিক পায় না। কালোবাজার থেকে কিনতে হয়। বাজারে সেই চিনি অবাধে বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদার ২০ শতাংশ চিনিও যদি তারা পাবলিকের কাছে সরাসরি বিক্রি করতো, তাহলে চিনির সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম অনেকটা কমতো।
সরকারি সংস্থাই যদি এমনটা করে তবে, বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী তথা কথিত সিন্ডিকেটকে দোষারোপ করা কেন? লেখক : ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসাসিয়েশনের সভাপতি