থাইল্যান্ডের বাজারে গেলে বাংলাদেশের জন্য মন খারাপ হয়
তানভীর আহমেদ
ব্যাংককের বাজারে গেলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য মারাত্মক খারাপ লাগে! মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে একটা সাক্ষাৎ জাহান্নামে বসবাস করছে!
ব্যাংককে প্রায় প্রতিটা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম টাকায় হিসেব করলেও বাংলাদেশের তুলনায় অনেক অনেক কম!
১। ব্যাংককে ১ কেজি গরুর মাংস কিনি ২২০-২৪০ বাথে (৬৫০-৭০০ টাকা)! কিন্তু সেইম কোয়ালিটির এক কেজি গরুর মাংস বাংলাদেশে কিনলে লাগবে ১২০০-১৫০০ টাকা! এইখানে গরুর মাংসে কোন হাড় থাকে না! বাংলাদেশে হাড় বলে যা বিক্রি করা হয় সেগুলো এখানে ফেলে দেওয়া হয়! এখানে হাড় বলতে সিনার মাংসকে বুঝায় যেটা আলাদা কিনা যায় ১ কেজি ৮০ বাথে (২৪০ টাকায়)
২। এইখানে ১ কেজি লাইভ রুই মাছের দাম ৫০ বাথ (১৫০ টাকা)! গত ১ বছর ধরে এই দামেই কিনছি! দামের কোন পরিবর্তন হয় নাই! মাছের সাইজ বড় হলেও দামের কোন পরিবর্তন নাই!
৩। বিশাল বড় বড় সাইজের ১ কেজি ইলিশের দাম ৩৫০-৫০০ বাথ (১০৫০-১৫০০ টাকা)। আজকে ৩৫০ বাথ করে কিনেছি! এই সাইজের ১ কেজি ইলিশ বাংলাদেশে কিনলে লাগবে ২০০০-২৫০০ টাকা!
৪। ১ কেজি মাঝারি সাইজের রূপ চাঁদা মাছের দাম ১০০-১১০ বাথ (৩০০-৩৪০ টাকা)! বাংলাদেশে যা ১ কেজি কিনতে লাগবে ৭০০-১০০০ টাকা!
৫। ১ কেজি পাকিস্তানি মুরগির দাম ১১০-১২০ বাথ (৩৩০-৩৬০ টাকা)! স্বাদ আমাদের দেশী মুরগির থেকে কোনোভাবেই কম না!
৬। কোরালসহ প্রায় সব বড় বড় সামুদ্রিক মাছ ৭০-১৫০ বাথ/কেজির মধ্যে পাওয়া যায়!
৭। একটা বিশাল বড় সাইজের তরমুজ ১০০-১৩০ বাথ (৩০০-৪০০ টাকা) যা নাকি বাংলাদেশে এখন ৭০০/৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে!
৮। ১ কেজি মধুর মত মিষ্টি রসালো আমের দাম ৩০-৫০ বাথ (১০০-১৫০ টাকা)। তবে আজকে কিনলাম ৩০ বাথ/কেজি।
৯। এছাড়া প্রায় প্রতিটা ফল ও সবজির দাম বাংলাদেশের থেকে অনেক অনেক কম!
এত গেলো দামের কথা। কোয়ালিটি এবং স্বাদের যে আকাশ পাতাল ব্যবধান সেইটা হয়তো না বললেও চলবে! এইখানে কোন একটা খাবারে সামান্যতম ভেজাল নাই! সবকিছু ১০০ শতাংশ ফ্রেশ!
দামের সাথে সাথে এই দুই দেশের মানুষের এভারেজ ইনকামের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে! থাইল্যান্ডের মানুষের এভারেজ ইনকামও কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের থেকে অনেক বেশি! লেখক : সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (থাইল্যান্ড প্রবাসী)