জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, আটক প্রক্টর ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
জবি প্রতিনিধি : [১] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আটক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
[২] গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে, গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
[৩] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা নানা ঘটনা প্রবাহে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ছিলেন, বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন খন্দকার মহিদ উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, আটক দুইজনকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৪] পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামিদের নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। আংশিকভাবে প্রাথমিক সত্যতার বিষয় জানা গেলেও, এ ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত, কুমিল্লা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। [৫] এর আগে, গত শনিবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে, তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন, বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
[৬] প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। আত্মহত্যার পূর্বে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ আত্মহত্যার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে, আম্মান সিদ্দিকীর সহযোগী উল্লেখ করে এ ঘটনার জন্য তাকেও দায়ী করেন অবন্তিকা।