অবন্তিকার আত্মহত্যা : রিমান্ডে সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলাম
আব্দুল্লাহ নুর: [১] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দুই দিনের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে এক দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
[২] গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় তাদের কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষক দ্বীন ইসলামের দুদিন ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে। এরপর শুনানি শেষে আদালত শিক্ষকের একদিন ও সহপাঠীর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৩] এর আগে, গত শনিবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে, তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন, বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
[৪] প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। আত্মহত্যার পূর্বে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ আত্মহত্যার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে, আম্মান সিদ্দিকীর সহযোগী উল্লেখ করে এ ঘটনার জন্য তাকেও দায়ী করেন অবন্তিকা। এরপরই ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
[৫] এ অভিযোগ অস্বীকার করে গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে লেখেন, দুই বছর আগে অবন্তিকা নিজেই ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদমূলক কথা লেখেন। পরে বিষয়টি সে নিজে স্বীকার করে নিলে প্রক্টর অফিস থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপর অবন্তিকার পরিবারের পক্ষে তার বাবা এসে অঙ্গীকারনামা দেন যে, তার মেয়ে ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবে না। এ সংক্রান্ত জিডির কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, অঙ্গীকারনামা এবং মেসেঞ্জারের কয়েকটি মেসেজের স্ক্রিনশট লেখার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন আম্মান।
[৬] এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম বলেন, এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।