ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন খুব বেশী সফল হবে না
এমডি আলী জামান
১) এর পিছনে রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন নেই।রাজনৈতিক শক্তি’র সমর্থন ছাড়া স্বভাবতই কোন আন্দোলন সেভাবে দানা বাধে না।যেমন-কয়েক বছর আগে আমাদের দেশের কিশোর ছাত্র আন্দোলন,পশ্চিমা দেশগুলোতে ইয়েলো ভেষ্ট আন্দোলন ইত্যাদি। উল্লেখ্য,বিএনপিসহ বড় কোন রাজনৈতিক দল এই আন্দোলন সমর্থন করেনি।
২) বিকল্প পণ্যের অভাব।ভারতীয় পণ্যের বিপরীতে অনেক পণ্যই এদেশের বাজারে বিদ্যমান।কিন্তু সেগুলো কোন কোম্পানির? প্রায় সবগুলোই এমন সব কোম্পানীর তৈরি, যেগুলো কথিত “সিন্ডিকেট” এর মালিকানায় তৈরী।মানুষ কুমীর তাড়িয়ে বাঘ আনতে যাবে কেন?
৩) পণ্যের দাম।আচার্য প্রফুল্ল সেন এই উপ মহাদেশে “দেশী পণ্য কিনে হও ধন্য” স্লোগানের জনক ছিলেন।তিনি একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ,আবার ছিলেন শিল্প উদ্যোক্তা।তার ডাকে ভারতের অন্যান্য শিল্প উদ্যোক্তারা সাড়া দিয়ে কম দামে মানসম্মত পণ্য বিক্রি শুরু করেছিলেন।এর ফলে দেশী পণ্য জনমানুষের আস্থা অর্জন করে।
পক্ষান্তরে আমাদের দেশের শিল্পপতিরা সুযোগ সন্ধানী।এরকম অবস্থার সুযোগ নিয়ে তারা উৎপাদিত পণ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলবে।যার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ ওষুধ।উল্লেখ্য,ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রণীত ঔষধ ও স্বাস্থ্যনীতির সুবাদে এদেশ থেকে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো পাততাড়ি গোটায়।এর বিপরীতে দেশী কোম্পানীগুলোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়। স্কয়ার,বেক্সিমকো কোম্পানীর বার্ষিক বিক্রি তখন যেখানে ৫০ কোটি টাকা ছিল না,আজ তা কয়েক হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।সেই সাথে মানুষ দেখছে-সিন্ডিকেট করে কিভাবে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়..।এদেশে ভোগ্য আর খাদ্যপন্যের চেয়ে ওষুধ সিন্ডিকেট সবচেয়ে শক্তিশালী। লেখক:ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসোসিয়েশনের সভাপতি।