ভারত থেকে ৮ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
সোহেল রহমান : [১] রমজানে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে ডাল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনা হবে এ ডাল। ভারতের চেন্নাই থেকে এ ডাল সরবরাহ করবে এগ্রিগো ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি মেট্রিক টর মসুর ডালের দাম ৮৭১ ডলার হিসেবে এতে মোট ব্যয় হবে ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বুধবার অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। [২] বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে মসুর ডাল সরবরাহে অপর্যাপ্ততা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে জরুরী ভিত্তিতে মসুর ডাল ক্রয়ে আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে গত কয়েক মাসে অনেকগুলো দরপত্র আহবান করা হলেও কয়েকটির বিপরীতে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত দর অভ্যন্তরীণ বাজার দরের চেয়ে বেশি। এসব কারণে জরুরি চাহিদা পূরণে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে মসুর ডাল কেনা হচ্ছে।
[৩] সূত্র জানায়, মসুর ডাল ক্রয়ে গত ৪ জানুয়ারি ভারতীয় চেন্নাইয়ের প্রতিষ্ঠানের কাছে দরপত্র আহবান করা হয়। সিপিটি স্থল বন্দর পর্যন্ত প্রতি মেট্রিক টন ভারতীয় উৎসের মসুর ডালের টিসিবি’র প্রাক্কলিত দর হচ্ছে ৯৬৯.৭৮৪ ডলার। এর বিপরীতে ভারতীয় এগ্রিগো ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি মেট্রিক টন ৮৭৭ ডলার। পরবর্র্তীতে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন ডালের দাম ৮৭১ ডলার নির্ধারণ করা হয়।
[৪] প্রসঙ্গত: ইতোপূর্বে গতবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ঊমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি মেট্রিক টন মসুর ডাল ৮৭৫ ডলার দরে কেনা হয়েছিল।
[৫] সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী ২৫/৫০ কেজির বস্তায় আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে সমুদ্র পথে কিংবা স্থল বন্দর বেনাপোল/বাংলাবান্ধা/হিলি/দর্শনা/সোনা মসজিদ/ভোমরা/টেকনাফে এ ডাল সরবরাহ করা হবে।
[৬] বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিসিবি’র মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ডাল কেনার চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।