আমদানিকারণ ৩০টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হচ্ছে ৮৩ হাজার টন চাল
সোহেল রহমান : [১] অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য ৩০ প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাল আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-এর সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। [২] চিঠি সূত্রে জানা যায়, মনোনীত ৩০টি প্রতিষ্ঠান মোট ৮৩ হাজার মেট্রিক টন (নন-বাসমতি) সিদ্ধ ও আতপ চাল (সর্বোচ্চ ৫% ভাঙ্গাদানা বিশিষ্ট) আমদানি করবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চালের পরিমাণ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন এবং আতপ চালের পরিমাণ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন।
[৩] এর আগে ২০২৩ সালের ৭ মার্চ বেসরকারি পর্যায়ে সর্বশেষ ১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। [৪] খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫টি শর্তে চাল আমদানির জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে।
[৫] চাল আমদানির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশের বাজারজাত করতে হবে; আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে; বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না; আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে পুনঃ প্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
[৬] চাল আমদানির জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ যশোরের সরদার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (১ হাজার টন সিদ্ধ চাল); যশোরের মেসার্স জে কে ট্রেডার্স (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল); ঢাকার মেসার্স পারভেজ ট্রেডিং (১ হাজার টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); যশোরের সরদার এ্যালুমিনিয়াম স্টোর (৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল); যশোরের মেসার্স জামান ট্রেড লিঙ্ক (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল); যশোরের সাউদার্ন এগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (১ হাজার টন সিদ্ধ চাল); ঝিনাইদহের মেসার্স পাটোয়ারী ট্রেডার্স (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল); যশোরের মেসার্স নিহার ট্রেডার্স (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল); যশোরের মেসার্স দীন ইসলাম ট্রেডার্স (৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল); চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স শামসুল আলম (২ হাজার টন আতপ চাল); চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের উমাইজা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); কক্সবাজারের মেসার্স নিউ বড় বাজার শপিং মল (৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের এএস এন্টারপ্রাইজ (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); সিলেটের মেসার্স ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); যশোরের কোতয়ালীর মেসার্স মহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্টস (৬ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল); খুলনার খালিশপুরের মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজ (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ার মেসার্স কল্পনা ট্রেডার্স (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল); চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স এমএ সালাম অ্যান্ড কোং (৮ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); যশোরের ঝিকরগাছার মেসার্স ইসলামপুর রাইস মিল (৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); যশোর ঝিকরগাছার মোঃ ইসমাইল হোসেন মিলন (৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); সিলেটের জকিগঞ্জের মেসার্স মঞ্জু ইন্টারন্যাশনাল (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); ঢাকার হিমালয় (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); সিলেটের মিরাবাজারের সিল বেক্স ট্রেডিং (১ হাজার টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল); সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মেসার্স মোঃ রুনু মিয়া ট্রেডার্স (১ হাজার টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল); মুন্সীগঞ্জের মেসার্স নিউ মাতৃ ভান্ডার (৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল); ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির রিপা এন্টারপ্রাইজ (১ হাজার টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল); চুয়াডাঙ্গার মেসার্স মুন্সী স্টোর (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল); ঢাকার মতিঝিলস্থ টাইগার ট্রেডিং (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল); ময়মনসিংহের নাফিসা এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ (১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল) এবং সিলেটের মিরাবাজারের অর্তি ট্রেডিং (১ হাজার টন সিদ্ধ ও ১ হাজার টন আতপ চাল)।