নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী গুলশানের বাড়ি তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। [২] রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। [৩] সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীরা জানান, এর ফলে সালাম মূর্শেদীর বাড়ি এখন যেভাবে আছে সেই অবস্থায়তেই থাকবে। [৪] আদালতে এদিন সালাম মূর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, এ্যাডভোকেট ব্যরিস্টার সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান, এ্যাডভোকেট ড. তানজির মান্নান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। [৫] তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, রিটের মামলায় কখনো রায় হতে পারেনা। তাই এ রিটের মামলায় হাইকোর্ট যে বিতর্কিত রায় দিয়েছে তা বিরল ঘটনা। দেশ স্বাধীনের পর ৭২ সালের পর এ ধরনের বিতর্কিত রায় এটিই দেশে প্রথম।
[৬] তিনি বলেন, এবান্ডান্ট প্রোপার্টি- এই প্রোপার্টি কিভাবে এবান্ডান্ট ঘোষণা ও রিলিজ করা যায় সেই বিষয়ে আপিলেট ডিভিশন ও হাইকোর্ট ডিভিশনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা রয়েছে।
[৭] তিনি সাংবাদিক আবেদ খানের বাড়ির মামলার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, যে ব্যক্তি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ বা বাড়ির মালিক তার কথা না শুনে কিংবা ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই না করে এই আদালত বিতর্কিত রায় দিতে পারে না। [৮] সালাম মূর্শেদী একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনবারের এমপি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সুনামের সঙ্গে দেশে ব্যবসা- বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। রাজউকের নিয়ম অনুসরণ করে তিনি এ বাড়ি কিনে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এছাড়া সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন।