মো. আখতারুজ্জামান : [১] যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) স্থাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনকর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির দখল গ্রহণ করল বেপজা। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বেপজার অনুকূলে প্রায় ৫০৩ একর জমির দখল হস্তান্তর করেন।
[২] বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলমের উপস্থিতিতে বেপজার পক্ষে যশোর ইপিজেড প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ পাশা অধিগৃহীত জমির দখল গ্রহণ করেন। [৩] উল্লেখ্য, গতবছর ১৯ নভেম্বর বেপজা ভূমি মালিকগণের অনুকূলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বরাবর ২৬৬ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করে। [৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর বেপজার গভর্নর বোর্ডের ৩৪তম সভায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যশোর জেলায় একটি ইপিজেড স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের ৫০৩ একর জমি জেলা প্রশাসন কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানিকভাবে মাধ্যমে এই জমি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় যশোর ইপিজেড প্রকল্পের কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। [৫] উল্লেখ্য, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বরে যশোর ইপিজেড স্থাপনের জন্য ১ হাজার ৬৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০০ শিল্পপ্লট তৈরি করা হবে যখানে ২ বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করা যাবে। [৬] আশা করা হচ্ছে, ইপিজেডটি সম্পূর্ণভাবে চালু হলে ১.৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আরও ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের মোট রপ্তানিতে বার্ষিক ২.৪ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে।