৮ মাসে ২০৩ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ গতবছরের তুলনায় ৬১ কোটি ডলার বেশি
মো. আখতারুজ্জামান : [১] চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) আট মাসে সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১ কোটি ডলার বেশি।
[২] সোমবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।
[৩] ইআরডি জানিয়েছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে। আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন ডলার)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে। [৪] ইআরডি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এসময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানানো হয়।
[৫] ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এই সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। [৬] ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। এই সংস্থা অর্থছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপর বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। [৭] গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ, আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার।
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সামিট পাওয়ারের মুনাফা ৮৭ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে সামিট পাওয়ার লিমিটেড, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৮১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। [২] সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ৭৬ পয়সা।
[৩] এছাড়া অর্থবছরের প্রথমার্ধে সামিটের আয় হয়েছে ১৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের বছরের ১৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা থেকে ৯ শতাংশ বেশি। এই হিসেবে অর্ধবার্ষিক ইপিএস ১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৭১ পয়সা।
[৪] বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা।
[৫] সামিট পাওয়ার সিঙ্গাপুরভিত্তিক হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে তাদের ১৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা আছে।