যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য মিডিয়ার মানবাধিকারের মায়াকান্না!
মঞ্জুরে খোদা টরিক : [১] রাশিয়ার মস্কোর কনসার্টে কথিত ইসলামী জঙ্গীদের গুলি ও গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন। আরও দুইশতাধিক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। জনপ্রিয় কনসার্ট কমপ্লেক্সটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলেও ৪ জনের ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তদের মুখে-শরীরে ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন। এ চিহ্ন দেখিয়েই তারা প্রচার করছে রাশিয়ায় মানবাধিকার বলে কিছু নেই। তারা অপরাধীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে না। ইত্যাদি। কে বলছে এ কথা? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা? যুক্তরাষ্ট্রের নিজ দেশে ও বিশ্বে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বললে কি শেষ হবে? সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য তোলপাড় করা আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে ও ঘটছে। গাজায় মানবাধিকারের কথা না হয় বাদই দিলাম সেখানে যে যুদ্ধাপরাধ ঘটছে তা নিয়ে তারা নীরব কেন? আচ্ছা আইএস জঙ্গী কাদের সৃষ্টি লাদেন, তালেবান, বোকো হারাম, খেরসন-কে কাদের সৃষ্টি? তাদের অস্ত্রের উৎস কি? তাদের আঘাত-হামলার সুবিধাভোগী কারা? কেন ইউক্রেন তাদের জন্য পকেট গেট তৈরি করেছিল? তারপরও বলি আইএস কি সেখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েছিল? ঠান্ডা মাথায় এতগুলো মানুষকে পশু-পাখির মতো গুলি করে হত্যা করলো যারা, তারা এ মানুষ রুপী জানোয়ারদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে। আমি মানবাধিকার বিরোধী নই। কিন্তু যারা এ অভিযোগ করছেন, তারা নিজেরাই প্রতিনিয়ত তা লঙ্ঘন করছেন। তাহলে রাশিয়ার দিকে আঙ্গুল তুলছেন তারা-কোন নৈতিকতায় ও অধিকারে? [২] জাতিসংঘে যুদ্ধবিরোধী বিল পাশ হওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েল বাহিনী ৮৩ জনকে হত্যা করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্যই পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল তবু তারা পক্ষে ভোট দেয়নি। কেন পক্ষে ভোট দেয়নি? কারণ এতে তাদের জানি দস্তো ইসরায়েল নাখোস হবে। তারমানে যুক্তরাষ্ট্র মন থেকে যুদ্ধবিরতি সমর্থন করেনি।সে কারণে- যুদ্ধবিরোধী বিল পাশ হওয়ার পরও মার্কিন মদদপুষ্ট ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গুন্ডারা হামলা-হত্যা বন্ধ করেনি। কেন ইসরায়েলকে দিয়ে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাচ্ছে না? কেন যুক্তরাষ্ট্র নিরব? উত্তর কি মিলছে? যুক্তরাষ্ট্র সরকার এর বিরোধিতা না করলেও বামপন্থী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স- গাজায় ইসরায়েলী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ইসরায়েল কি জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মানে না? জাতিসংঘকে তোয়াক্কা করে না? তাহলে তারা জাতিসংঘের সদস্য আছে কি করে? তাদের উপর কেন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হচ্ছে না? লেখক ও গবেষক