খলিলুর রহমান, দেশব্যাপী আলোচিত গরুর মাংস ব্যবসায়ী বছরে ১০ দিন ভারতীয় গরু আমদানির অনুমতি দিলে মাংসের দাম হবে কেজি প্রতি ৫০০ টাকা
ভূঁইয়া আশিক রহমান
[১] ২০ রমজানের পর গরুর মাংস বিক্রি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কার প্রতি ক্ষোভ বা রাগ? কারও চাপে কি আপনি আতঙ্কিত?
খলিলুর রহমান: আমি মানুষের কথা চিন্তা করে, সেবার মনোভাব নিয়ে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছি। যতোদিন পারবো, সেটা করে যাবো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন যাদের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে আমি লস গুণতেও দ্বিধা করিনি, তারা যদি আমাকে নিয়ে কটু কথা বলে ভালো লাগবে? মনে কষ্ট লাগবে না। ভয় বা আতঙ্ক নয়, আমার আসলে এতো ঝামেলা ভালো লাগে না। আমি তো সেবা করতে চাচ্ছি, সেটা করতে গিয়ে যদি এতো এতো প্রশ্নের সম্মুখীন করার পায়তারা করা হয়, তাহলে তো আমার স্বাভাবিক জীবন থাকবে না। সারাক্ষণ অস্থির রাখলে কীভাবে আমি এগোবো। সবার তো উচিত, আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাওয়া। আমি ঝুঁকি নিয়ে স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেছি। মাংসের বাজার এখনো ৮শ টাকার মধ্যে আছে। আমার মতো কয়েকজন যদি স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রি না করতো, তাহলে তো গরুর মাংস এখন ১ হাজার টাকা কেজি খেতে হতো।
[২] ২০ রমজানের পর কি সত্যিই গরুর মাংসের ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন?
খলিলুর রহমান : ২০ রমজানের পর নতুন করে ভাববো। কী করা যায় সবার সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানাবো। আমার কর্মচারি যারা আছে দীর্ঘদিন ধরে, তাদের সঙ্গেও কথা বলবো। আমি তো ভাই ব্যবসা করতে এসেছি। কারও ক্ষতি করতে আসিনি। আমি চাইÑসরকারকে সহযোগিতা করতে। সরকারও আমাকে সহযোগিতা করছে। মিডিয়াও আমাকে সহযোগিতা করছে। যদিও দুয়েকটি মিডিয়া আমাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। আপনারা আমাকে তুলে এনেছেন, আপনারাই আবার মাটিতে শুইয়ে দিতে পারবেন। ফলে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন, কী করবেন। মানুষের জন্য আমরা কয়েকজন যা করার চেষ্টা করছি সেটি অব্যাহত রাখবেন, নাকি খামাড়িদের সুবিধা হয় এমন কাজ করবেন। খামাড়িরা সরকারকে কোণঠাসা করে রেখেছে। খামাড়িদের হাত থেকে সরকারকে উদ্ধার করুন, তাহলে গরুর মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
[৩] স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রির ব্যাপারটা কেন মাথায় এলোÑপরিচিতি, প্রশংসা বা ভাইরাল হওয়ার জন্য, নাকি সেবার মনোবৃত্তি থেকে?
খলিলুর রহমান : আমি আগেই বলেছি, আমি অনেক ঝুঁকি নিয়ে স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেছি। প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে আমাকে কীভাবে চাপে রাখা হচ্ছে সেটা আপনারাও দেখেছেন মিডিয়ার কল্যাণে। ভাইরাল হওয়ার জন্য কি কেউ এতো ঝুঁকি নেয়? এতো বড় বড় পাওয়ারফুল মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, আমার তৎপরতায় তাদের অস্থিরতা বেড়েছে। ফলে আমি টার্গেট হয়েছি অনেকেরই। এটা আপনাদের না বোঝার কথা নয়।
[৪] প্রাচ্য কিংবা মধ্যপ্রাচ্য দুনিয়ার প্রায় সব জায়গা রমজান বা বিশেষ দিনে পণ্যের মূল্য ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের এখানে উল্টো হয়। পণ্যের দাম কমানো দূরের কথা, দ্বিগুণ বা কখনো কখনো তারও বেশি বৃদ্ধি করা হয়। সেখানে আপনি ব্যতিক্রম। কেন এই বতিক্রমী চিন্তা?
খলিলুর রহমান : পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলো রমজান মাস উপলক্ষে পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়। সাধারণত সেগুলো দেখেই আমিও ভাবলাম যে, কম দামে বিক্রি করি। রমজানের এক মাস আগেও ছিলো ৬৯৫ টাকা কেজি। তখন গরুর দাম কম ছিলো। সেজন্য আমিও কম দামেই বিক্রি করেছি। যদিও এখন গরুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি, তারপরও আমি কম দামেই বিক্রি করছি। কারণ রমজান মাস মানেই রহমতের মাস। এই রমজান মাসে লস দিয়েই আমরা মাংস বিক্রি করছি। সারা বছরে এগার মাস তো ব্যবসা করেই থাকি। এই রহমতের মাসে লস গেলে কোনো সমস্যা নেই। ফলে রোজার মাসে আমরা কিছু পরিমাণ লস দিয়েই বিক্রি করছি।
[৫] আপনাকে যারা হুমকি দিয়েছিলো, তারা কি কোনোভাবে ভয় দেখাচ্ছে, আবারও?
খলিলুর রহমান : যারা আমাকে হুমকি দিয়েছিলো তারা এখনো হাজতেই আছে। আমি খবর নিয়ে দেখেছি যে, তারা এখনও ছাড়া পায়নি। সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসেই দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে। গরুর মাংসসহ অনেক পণ্যের দাম কমিয়ে নিয়ে আসবে। আমরা বারবার খালি একই কথা বলি যে, খামাড়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আসলে এখানে খামাড়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। খামাড়িরা যে গরুগুলো ৪০-৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতেন, তার পেছনে খরচ হয় সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা। যে গরু ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়, তার পেছনে সর্বোচ্চ খরচ ৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে খামাড়িদের অতি মুনাফা কমে যাবে, কিন্তু তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। সরকার সবই জানে। কিন্তু সরকারের কাছের লোকজন সংশ্লিষ্টদের কোণঠাসা করে রেখেছে।
[৬] খামাড়ি সিন্ডিকেট কি রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী?
খলিলুর রহমান : রাষ্ট্রের চেয়ে কাছের লোকগুলো শক্তিশালী নয়। কিন্তু সেটা তারা বুঝতে দিচ্ছেন না। যেহেতু সরকারের কাছ থেকে অনেক টাকার লোন খামাড়িরা নিয়ে গেছেন। খামারিরা যে লোনগুলো নিয়েছেন, সেই লোন দিয়ে ৪-৫ লাখ টাকা বিঘা সম্পদ কিনেছেন। সেই সম্পদ এখন ২০ লাখ টাকা কাঠা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি বলেন তো আজ পর্যন্ত কোনো মাংস ব্যবসায়ী সেই লোন নিয়েছেন কি? বা কোনো সাধারণ কৃষক লোন নিয়ে তার কার্য সম্পাদন করছেন কি? যতো শিল্পপতি আছেন, তারা সব লোনগুলো নিয়েছেন। বড় বড় শিল্পপতিরা লোনগুলো নিয়ে সরকারের সেই টাকাগুলো মেরে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। তারা একটি গরু ৪০-৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন তো, তাদের খামারের গরুগুলো তারা কোনো মাংস বিক্রেতার কাছে দেয় কিনা? তাদের একটি গরুর যদি পা ভেঙে যায়, তাহলে তারা নিজেরাই সেটি জবাই করে বিক্রি করেন। অথচ কোনো মাংস ব্যবসায়ীর কাছে দেন না। আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, যারা পেঁয়াজ বা আলু উৎপাদন করেন, তারা একদম দরিদ্র কৃষক। যদি পেঁয়াজের দাম দশ টাকা কেজিতে বাড়ে, তাহলে আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু আমি আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাচ্ছি যে, গরু আমদানি করলে কেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো?
[৭] প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা কখনোই গরু পালে না। কোরবানিকে কেন্দ্র করে গরু লালন-পালন করে শুধু ধনী মানুষরা। যারা বড় বড় খামারের মালিক আছেন তাদের একটু জিজ্ঞেস করে দেখেন তো, তারা কখনো কোনো মাংস ব্যাবসায়ীর কাছে একটি গরুও বিক্রি করেছে কিনা? আমরা গরুগুলো ক্রয় করি আমাদের দেশের যারা ছোট ছোট গেরস্থ, যারা দু-একটি গরু লালন-পালন করেন, তাদের কাছ থেকে। আজকে যদি ইন্ডিয়ার বর্ডার খুলে দেওয়া হয়, তাহলে পাঁচশ টাকার নিচে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব। এতে কখনোই কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হতো তাহলে কি আমাদের কাছে গরু বিক্রি করতো? তারা আরো কম দামে গরু কিনবে ও লালন-পালন করতেও তাদের কম খরচ হবে।
[৮] তাহলে কি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিন্ডিকেটই গরুর মাংসের মূল্য জিম্মি?
খলিলুর রহমান : শতভাগ ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিন্ডিকেটে গরুর মাংসের মূল্য আটকে আছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার উপায় হচ্ছে ইন্ডিয়ান বর্ডারটি অল্প কয়েকদিনের জন্য খুলে দেওয়া হোক ও আগামী কোরবানি ঈদের পনের দিন আগে খুলে দিলেই হবে। আর সরকার যাদের লোন দিয়েছেন, তারা যখন লোন নিয়েছেন তখন তাদের সম্পদের হার কতোটুকু ছিলো, আর এখন কতোটুকু আছে তা একটু তদারকি করলেই সরকার সব তথ্য পেয়ে যাবে। পনের দিনের জন্য বর্ডার খুলে দিলে গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকার মধ্যে নিয়ে আসা যাবে। এখানে সরকারের কোনো ইনভেস্ট লাগবে না। বাংলার ব্যাপারীরাই গরু নিয়ে আসবে। তাদের সঙ্গে আমাদের আগেও গরুর ব্যবসা ছিলো, কিন্তু ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সেই ব্যবসা বন্ধ করিয়েছে। আমরা কোরবানির সময় শুধু খামাড়িদের ছাড়া আর কাউকেই পাই না গরু কেনার জন্য। আগে কোরবানির সময় যে গরুগুলো ছিলো, এখন খামাড়িদের গরু ছাড়া আমাদের কপালে আর গরু জোটে না।
[৯] গরুর মাংসের বাজার কি ধরে রাখা সম্ভব?
খলিলুর রহমান : এখন মাংসের বাজারটি আমরা ধরে রাখতে পারছি না। কারণ আমাদের উদ্যোগে আমরা আর কতোটুকু পারবো? সরকার যদি উদ্যোগ নিতো তাহলে হয়ে যেতো। ২০০২-২০০৩ সালে আমরা চামড়া বিক্রি করতাম ৩৫০০-৪০০০ টাকায়। সেই সময়ে আমরা জুতা কিনতাম তিনশ টাকায়। আর এখন চামড়া বিক্রি হয় ৭০০-৮০০ টাকায়। কিন্তু জুতা কিনতে হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে। তাহলে চামড়ার দাম কতো হওয়া উচিত? [২৪] চামড়াও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আটকে আছে। আজকে যারা বড় বড় চামড়া ট্যানারির মালিক তাদের গুলশান, বনানী, ধানমন্ডিতে কয়টি করে বাড়ি আছে? তাদের সম্পদের হার কতো? তারা কিন্তু এতিমকেও ছাড়ে না। একটি এতিমখানায় যদি কোরবানির চামড়া দেওয়া হয় তাহলে সেই চামড়ার টাকা দিয়েই সারা বছর মোটামুটিভাবে এতিমখানাটি চলে। সেই এতিমখানা থেকে ট্যানারি মালিকরা চামড়াগুলোর প্রতিটি ৩০০-৪০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছে। যা একসময় কয়েকগুণ বেশি দামে এতিমখানাগুলো বিক্রি করতো। এদিক থেকে দেখলে কিন্তু তারা এতিমদেরও ছাড় দিচ্ছে না।
[১০] গরুর দাম বেশি কি কেবল খামাড়িদের কারণে, নাকি অন্য কিছু আছে এখানে?
খলিলুর রহমান : বাজারে গরু অল্প। আমরা চেয়েছিলাম যে সরকার গরু আমদানি করুক, কিন্তু তা হচ্ছে না। সরকার যদি গরু আমদানি করে তাহলে আমরা প্রতিটা মাংস ব্যবসায়ী চাই যে ৫০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করতে। যদি গরু আমদানি হয় তাহলে আমরা সারা বাংলাদেশের মাংস ব্যবসায়ী উপকৃত হবো এবং সারা দেশের মানুষ মাংস খেয়ে সরকারের জন্য দোয়া করবে। একজন রিকশা চালক যদি ২৫০ টাকায় আধা কেজি গরুর মাংস কিনে তাহলে মোটামুটি একদিন তার চলে যায়। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তিনি তা করতে পারছেন না। আমি গরু যেভাবে কিনবো সেভাবেই বিক্রি করবো। সাধারণ মাংস বিক্রেতাদের থেকে আমি কম লাভে বিক্রি করবো। গরু আমদানি করার ক্ষেত্রে আমি শুধু সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছি।
[১১] ভোক্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ বা আপনার মাংসে বেশি চর্বি দেনÑএমন অভিযোগও উঠেছে। কী বলার আছে আপনার।
খলিলুর রহমান : আপনারা যে অভিযোগ শুনেছেন তা একজন ব্যক্তি করেছে, আর কোনো ব্যক্তি করেনি। আমি শুধু শুধু কোনো ব্যবসায়ীকে এই ব্যাপারে দোষ দিই না। যদি আমার কোনো স্টাফ এমন করে থাকে তাহলে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেই স্টাফকে না করে দিই। তারপরও উনার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এখন আপনাদের মাধ্যমে আমি আবার তার কাছে ক্ষমা চাইছি।
[১২] একজন সর্বোচ্চ কতো কেজি মাংস কিনতে পারেন আপনার মাংস বিতান থেকে? খলিলুর রহমান : একজনের কাছে পাঁচ কেজি মাংস বিক্রি করি। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার ক্রেতা আসে এখানে। কিন্তু আমি দিতে পারি দশ-এগারো হাজার মানুষকে। [১৩] গরুর মাংসের দামের সঙ্গে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের সংযোগ আছে বলছিলেন। সেটা কী? গরুর মাংসের দাম কমলে অন্য পণ্যেরও দাম কমবে, আপনার যুক্তিটা আসলে কী? খলিলুর রহমান : গরুর মাংস যদি ৫০০ টাকা কেজিতে নেমে আসে তাহলে ইলিশ মাছের দাম, পোল্ট্রি মুরগি ইত্যাদি প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে।
[১৪] সরকারের কাছে আপনার কোনো চাওয়া আছে?
খলিলুর রহমান : সরকারের কাছে আমার চাওয়া হচ্ছে, বছরে অন্তত ৮-১০ দিনের জন্য হলেও বর্ডারটি খুলে দিন। বিশেষ করে প্রতিবছর রমজানের ১০ দিন আগে, আর কোরবানির ১৫ দিন আগে ভারত থেকে গরু আমদানির অনুমতি দিন। তাহলে ৫০০ টাকা কেজি গরুর মাংস খেতে পারবে ভোক্তারা। চামড়ার সিন্ডিকেট ও ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিন্ডিকেটও ভেঙে যাবে। এই ব্যবস্থা সাময়িক, কয়েক বছরের জন্য হতে পারে। আমরা যখন সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে পারবো, তখন আমদানি অনুমোদন বাতিল করলেও আপত্তি থাকবে না।