বয়কটের ডাকে অর্ধেক দামেও মিলছে না তরমুজের ক্রেতা
মো. আখতারুজ্জামান : [১] মৌসুমের শুরুতেই যখন ৮০-৯০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। তাদের এই বয়কটের সিদ্ধান্ত রীতিমতো তাক লাগিয়েছে তরমুজের বাজারে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম নেমেছে অর্ধেকেরও কমে।
[২] শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেও যে তরমুজ ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয় তা এখন ১৫০-২০০ টাকায় মিলছে। তবে দাম কম থাকলেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না তরমুজ ব্যবসায়ীরা।
[৩] ভোক্তাদের ভাষ্য, তাদের বয়কটের সিদ্ধান্তেই মূলত তরমুজের দাম কমেছে। সবাই এভাবে জোটবদ্ধ হয়ে তরমুজ কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম নেমে আসবে ৩০ টাকার নিচে। পাশাপাশি কেজির বদলে পিস হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।
[৪] অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্ষেত থেকে পচনের ভয়ে অনেক তরমুজ উঠিয়ে ফেলেছে। এ কারণে বাজারে তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। এর ফলে কমেছে তরমুজের দাম।
[৫] শোভন নামে এক ক্রেতা বলেন, ভোক্তারা তরমুজ কেনা বয়কট করেছে, তাই বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! এর প্রভাবে দাম কমাতে বাধ্য ব্যবসায়ীরা।
[৬] কারওয়ান বাজারের খুচরা ও পাইকারি তরমুজ বিক্রেতা ইলিয়াস আলি ঢাকা টাইমসকে বলেন, তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। আর রোজা শেষ দিকে হওয়ায় কমেছে চাহিদাও। তাছাড়া ক্রেতারা এখন কম কিনছেন ফলটি। এতে লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা।
[৭] এই বিক্রেতা বলেন, তরমুজের মৌসুম আছে আর মাত্র এক মাসের মতো। রোজার কারণে এখন কিছুটা হলেও বেচাকেনা আছে। ঈদের পর সেটিও থাকবে না হয়তো।
[৮] রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। রোজার শুরুতে যে তরমুজ ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করতে মাইকিং করে তা ১৫০ টাকায় বিক্রি করছে।
[৯] কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশে ৯১ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমিতে ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৬৬৬ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। বরাবরের মতো বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়। এই অঞ্চলে ৬৪ হাজার ২১৬ হেক্টর জমিতে ২৭ লাখ ২৪ হাজার ২৪১ টন তরমুজ পাওয়া যায়।