জাইকার অর্থায়নে ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে হচ্ছে ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার
এস.ইসলাম জয় : [১] ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থাৎ ১৭২.৩১ কোটি টাকা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অনুদানে কক্সবাজারে হচ্ছে ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার। ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক প্রকল্পের আওতায় এ অনুদান দিচ্ছে জাইকা। বৈদেশিক অর্থায়নের নিশ্চয়তা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ( ইআরডি) সম্বনয় করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের ৬০.৩১ কোটি টাকাসহ প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে ২৩২.৮৩ কোটি টাকা।
[২] প্রকল্পটি গত বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। [৩] “ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্?ট্রিক্ট” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই জেলার মৎস্য আহরণ, অবতরণ ও হস্তান্তর কার্যক্রম আরো গতি পাবে। আধুনিক অবতরণ সুবিধাদি ও সরঞ্জামাদি সংযোজনের মাধ্যমে মাছের আহরণোত্তর অপচয় কমে যাবে। মাছ ধরা ট্রলারের বার্থিং সুবিধ বাড়বে।
[৪] ফিস ল্যান্ডিং প্রকল্পটির একনেকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আর বস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত।
[৫] যে যৌক্তিকতায় হচ্ছে প্রকল্পটি : কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর আওতাধীন একটি মৎস্য অবতরণ ও পাইকারী মৎস্য বাজার কেন্দ্র আছে। এখানে আহরিত মাছের ৮৫ শতাংশের বেশি ওই কেন্দ্রে অবতরণ করে। ২০১২ সালে সাইক্লোনে কেন্দ্রটির বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বর্তমানে মৎস্য অবতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে আহরিত মাছের হাইজিন কোয়ালিটি নিশ্চিতকরণ এবং মাছের আহরণোত্তর অপচয় (পোস্ট হারবেস্ট লস) কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রকল্পটি ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।
[৬] প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম : ৩ তলা বিশিষ্ট ৬ হাজার ১৪৯ বর্গমিটার নতুন ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার ভবন নির্মাণ হবে। মৎস্য অবতরণের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ১ হাজার ৪৫৭.৩ বর্গমিটার ইস্পাতের অস্থায়ী শেড এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ১৯৫ বর্গমিটার অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ২ টি নৌকার ঘাট ও গ্যাংওয়ে স্থাপন, ৩ হাজার ১৬৭.৬৯ বর্গমিটার পাড় সংরক্ষণ দেয়াল নির্মাণ করবে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ৭১৪.৬০ বর্গমিটার মাছের বাজার ও প্রার্থনা কক্ষ নির্মাণ; সীমানা প্রাচীর নির্মাণ; বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও মাছ ধরার সরঞ্জামাদি ক্রয়ও করা হবে প্রকল্পের আওতায়।