স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদক তামাকজাত পণ্যে বছরে আয় ২২ হাজার কোটি ক্ষতি ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি
মো. আখতারুজ্জামান : [১] সরকার তামাকজাত পণ্য থেকে প্রতিবছর ২২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায়। কিন্তু এই তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়। এর কারণ হচ্ছে দেশে বিদ্যমান তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়ে গেছে। যা তামাকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারছে না। তাই এই মৃত্যুর মিছিল কমাতে দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।
[২] গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
[৩] সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তিনটি বিশেষ দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো বর্তমান আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করা। এই আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ছয়টি সুপারিশ জানাচ্ছে। দাবি গুলো হলো – ক/ সব পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা। খ/ তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। গ/ তামাক কোম্পানির যেকোনও ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। ঘ/ তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। ঙ/ বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন ও খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা। চ/ ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
[৪] সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আবু সালেহ মো. নাজমুল হক বলেন, শুধু ধুমপান নয়, যেকোনো তামাক দূর করার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন করতে হবে। সরকার তামাকজাত পণ্য থেকে প্রতিবছর ২২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায়। কিন্তু এই তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয় তামাক ব্যবহারকারীদেরকে কোনভাবেই উৎসাহিত করা যাবে না। তামাক ব্যবসায়ীদেরকে আইনগত সাহায্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং তামাক বর্জন কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা সরকারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করবো। সমাজের প্রতিটি সেক্টরে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে।
[৬] স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।