তরমুজে সিন্ডিকেট নেই তাই দাম কমেছে কিন্তু গরুতে আছে
এমডি আলী জামান
অনেকে বলছেন, তরমুজ সিন্ডিকেট ভেঙেছি। এবারে গরুর মাংস বয়কট করে মাংসের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।
কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হবে না। কারণ, তরমুজের উৎপাদন প্রচুর।
পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় এটাকে মাঠ থেকে বাজারে আনতেই হবে। যে দামে হোক বিক্রি করতে হবে। কৃষকরা কিন্তু তরমুজের দাম বাড়ায় নি। রোজাকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়েছে ফড়িয়া আর মধ্যসত্বভোগীরা।
পক্ষান্তরে মাংসের উৎপাদনের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশী। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়লেও ধনীর সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। দেশের চার কোটির বেশী মানুষ ইউরোপীয় স্টান্ডার্ডে বাস করে। টাকা তাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়।যে কোন দামে এরা মাংস কিনতে সক্ষম।
তরমুজের সরবরাহ বিপুল। এর উৎপাদকদের কোন সংগঠন নেই। পক্ষান্তরে মাংসের সরবরাহ কম। তাছাড়া তাদের শক্তিশালী সংগঠন আছে। এরা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়িয়ে বা কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
তাই,তরমুজের সাথে মাংস বয়কটের মাধ্যমে দাম কমানোর বিষয়টা কার্যকর হবে বলে মনে হয় না।
একমাত্র সম্ভব, প্রচুর আমদানীর ব্যবস্থা নিয়ে মাংসের সিন্ডিকেট তছনছ করে দেয়া। বাণিজ্য সচিব বলেছেন, আমদানী করলে, ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিতে বাজারে গরুর মাংস পাওয়া যাবে। কিন্তু কথিত উৎপাদকদের স্বার্থে তা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
উৎপাদকের স্বার্থ সংরক্ষণ আর সিন্ডিকেটের কাছে দেশবাসীকে জিম্মি করা এক কথা নয়। এইটা বুঝে সরকারী নীতি নির্ধারকদের জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। লেখক : ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসাসিয়েশনের সভাপতি।