গরুর মাংসের দর ও খলিল খাললাস!
মীর শাহনেওয়াজ
সংবাদ-১. ঢাকায় খলিল নামের একজন গরুর মাংস ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা দরে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করছেন। যেখানে ৭৫০-৮০০ নিচে কোথাও আপনি গরুর মাংস পাচ্ছেন না সেখানে শাহজাহানপুরে এ মাংস ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করছেন। কী আস্পর্ধা। ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি অফিসে গরুর মাংসের দাম নিয়ে ডাকা এক মিটিংয়ে ২১ বার হজ্ব করা এক মুরুব্বি হাজী সাহেব নাকি জানিয়েছেন, খলিল ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করতে পারেন। কারণ খলিলের গরু বুইড়া। আর এ হাজী সাহেব কচি গরু ছাড়া নাকি কোপান না। দেশের জনপ্রিয় রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’র একজন কর্মকর্তা বোঝালেন, খলিল গরুর মাংসের সঙ্গে চর্বি মেশায়, যা আলমের ১নং ‘পঁচা সাবান’ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যদিও এ কারণে বাজারে সাবানের দাম বেড়েছে বলে কোনো রিপোর্ট নেই।
সংবাদ-২. ঢাকায় খলিল নামের একজন গরুর মাংস ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা দরে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করতেন। খলিল না থাকলে, জলিলের কাছ থেকেও গরুর মাংস কেনা যেতে পারতো। কিন্তু এতদিন মাংস কিনলে মাংসই পেতাম।
এখন যে মাংসের সঙ্গে আবার ব্যাডমিন্টন হাড্ডিও নিতে হবে। মাংসখেকো অনেকে বলছেন মাংসের এ ক্রান্তিলগ্নে গরুর মাংস বয়কট করাটাই শ্রেয়। হয়তো অন্যান্য মাংস ব্যবসায়ীদের চাপে খলিল অন্য ব্যবসায় শিফট করেছেন। তবে আমি ভাবছি ভিন্ন কিছু। নামি-দামি খেলোয়াড়, নায়ক, গায়ক পর্ব তো শেষ। এবার নামি-দামি আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী হিসেবে খলিল সাহেবকে সংসদ সদস্য হিসেবে অচিরেই হয়তো দেখতে যাচ্ছি আমরা। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সংসদে নিজেদের দল ভারি করার লক্ষ্যে প্রচ্ছন্ন চাপে রাখতেও পারে তাকে। তবে এগুলো স্রেফ আমার ধারণা, মিডিয়ার সৃষ্টি নয়। ১-৪-২৪। ফেসবুক থেকে