সোহেল রহমান : [১] পুলিশ দিয়ে নয়, বাজারে পণ্যের সরবরাহ তৈরি করে দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
[২] মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবন চত্বরে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
[৩] বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাফার স্টক তৈরি করছি টিসিবি’র মাধ্যমে। যা বাজারে পণ্যের বিকল্প সরবরাহ বাড়াবে। যদি আমরা বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থা রাখতে পারি, তাহলে দু’-চারজন চাইলেও বাজার ব্যবস্থাপনাকে নষ্ট করতে পারবে না। রোজার মধ্যে এটা কিন্তু এখন প্রমাণিত।
[৪] ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সামনে নির্বাচন, কৃষকরা বিদ্রোহ করেছে, তারা সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। তারপরও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তারা আমাদের পেঁয়াজ দিয়েছে।
[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে এ পেঁয়াজ আনার মধ্যে আমাদেরও অনেক ঝুঁকি ছিল। ফাইনালি আমরা যখন ভারতের অনুমতি পেলাম, তখনও অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কি না। আবার রোজা শেষ হওয়ার আগে আসবে কি না। তারপরও আমারা এ ঝুঁকি নিয়েছি। আমি মনে করি ঝুঁকিটা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
[৬] তিনি বলেন, এ পেঁয়াজ ভারত সরকার আবুধাবিতে প্রতি টন ১ হাজার ২০০ ডলারে বিক্রি করছে। আমাদের দিয়েছে ৮০০ ডলারে। তারপরও ক্যালকুলেশন করে দেখলাম এ দামে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে এসে আমরা বিক্রি করতে পারবো না। এরপর আমরা আবার নেগোসিয়েশন করেছি, যে কারণে পেঁয়াজটি আনতে দেরি হয়েছে। রোজার প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজ আসার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।
[৭] প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানি করা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৫০ টন এসেছে। এ পেঁয়াজ ঢাকা মহানগরীর ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরে খোলাবাজারে বিক্রয় করা হবে। বাজারদর বিবেচনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিসিবির কার্ডধারী পরিবারের পাশাপাশি সব ভোক্তা এ পেঁয়াজ দুই কেজি করে কিনতে পারবেন।