এক সপ্তাহে নিট রিজার্ভ বাড়ল ৫১ কোটি ডলার
মো. আখতারুজ্জামান : [১] প্রকৃত রিজার্ভ সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।
[২] প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে আগে তা ছিল এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
[৩] গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঝোড়ো বাতাস বইছিল। যে হারে রিজার্ভ কমছিল, সে হারে বাড়ছিল না। ফলে ক্রমাগত কমছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত দুই মাস ধরে সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি শুরু হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সঙ্গে সঙ্গে আবার তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বাড়ল।
[৪] নিট রিজার্ভের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে। এক সপ্তাহ আগে ছিল দুই হাজার ৪৮১ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে বাড়ল ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।
[৫] গত সপ্তাহে ব্যাংক থেকে ধার করা ডলার পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এ মাসের শুরুতে রিজার্ভ আবার কিছুটা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে ঈদের আগে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যেই রিজার্ভ তিন দফা বড় ধরনের ওঠানামা করেছে।
[৬] এদিকে আইএমএফ রিজার্ভ ধারণের যে শর্ত দিয়েছিল তার মধ্যেও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। নিট রিজার্ভ মার্চের মধ্যে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ডলার রাখার শর্ত ছিল। আইএমএফের হিসাবে তা নেই। এ কারণে আগামী তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় নিট রিজার্ভ ধারণের লক্ষ্যমাত্রা আরও কমানোর প্রস্তাব করা হবে।