বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুর প্রতিনিধি : [১] পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্প পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যদিও ১০০টির বেশি কারখানা এখনও তাদের শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারির বেতনই পরিশোধ করতে পারেনি বলে এই শিল্পের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে।
[২] এদিকে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধের সময় এরমধ্যেই শুরু হয়েছে, আর শ্রম আইন অনুসারে প্রথম সাত কার্যদিবসের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হবে মালিকপক্ষকে।
[৩] পোশাক শিল্পের নেতারা বলছেন, সরকারিভাবে ১০ তারিখ থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি, এটা মাথায় রেখে ছুটির আগেই তাঁরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
[৪] মহাসড়কে যানজট ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে অনেক পোশাক কারখানায় উৎসবকালীন এই ছুটি শুরু হবে ৭ এপ্রিল থেকে। শিল্প পুলিশের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরের আগে ২৭১টি পোশাক ও টেক্সটাইল কারখানা তাদের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যায় পড়তে পারে।
[৫] এরমধ্যে ১৭১টি কারখানা পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন-বিজিএমইএ’র সদস্য। ৭১টি কারখানা নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন- বিকেএমইএ’র সদস্য, আর ২৯টি সদস্য বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-র। [৬] গত সপ্তাহ থেকে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বেশকিছু কারখানার শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করছে।
[৭] নাসির বলেন, বিজিএমইএ এটি সমাধানের চেষ্টা করছে। যেসব কারখানায় ঈদের আগের শ্রমিক অসন্তোষের ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষত তাদের বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। সমাধানের উপায় পেতে কারখানা মালিক, তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে কাজ করছেন বিজিএমইএ’র কর্মকর্তারা।
[৮] বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র সদস্য ১০০টির বেশি কারখানা তাদের শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে পারনি।
[৯] তিনি আরো বলেন, শুধু বেতন বাবদই পোশাক শিল্পকে শ্রমিকদের ৫ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হয়। অথচ নগদ সহায়তা হিসেবে সরকার মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে। কিন্তু, রপ্তানিকারকরা মোট ৬ হাজার কোটি টাকার নগদ সহায়তা চেয়েছিলেন।
[১০] সরকার যদি আরো অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা ছাড় করে, তাহলে কারখানা মালিকরা ঈদের বোনাস এবং মার্চ মাসের বেতন দিতে পারবে-বলেন হাতেম।
[১১] নাহলে আরেকটি বিকল্প হতে পারে ব্যাংকঋণ, ব্যাংক এ ধরনের ঋণ অনুমোদন নাও দিতে পারে। কারণ অধিকাংশ কারখানা মালিকের ইতোমধ্যেই ব্যাংকের কাছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দায় রয়েছে।