রাঙামাটিতে ১০০ কোটি টাকায় নির্মাণ হবে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার
রাঙামাটি প্রতিনিধি : [১] রাঙামাটির তরুণদের স্মার্ট কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।গত শুক্রবার রাঙামাটির প্রধান ডাকঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। [২] পলক বলেন, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ যে উন্নয়নটা গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, তার ছোঁয়া পৌঁছে গেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে রাঙামাটিকেও কীভাবে স্মার্ট জেলায় পরিণত করা যায়, সেই লক্ষ্যে আজ আমি বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করলাম। প্রত্যেকটি পোস্ট অফিসকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। যেখান থেকে একজন নাগরিক ৩২৫ ধরনের সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
[৩] আগামী মে মাসের মধ্যে রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে স্মার্ট পয়েন্ট সার্ভিস স্থাপন করা হবে।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির যে পরিবর্তন হয়েছে, তা অভাবনীয়। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
[৪] এর আগে জুনাইদ আহমেদ পলক রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেকেন্ডারি গ্রাউন্ড স্টেশন ও রাঙামাটি বিটিসিএল কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ডাকঘর পরিদর্শন শেষে তিনি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারেরর জন্য প্রস্তাবিত ভূমি পরিদর্শন করেন।
[৫] এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তালিকা দেখে বাসভাড়া দিতে বললেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ আপনারা তালিকা দেখে ভাড়া দিবেন। অতিরিক্ত এক টাকাও ভাড়া দিবেন না। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে টিকিট কাটার আগের আমাদের ভিজিলেন্স টিমের কাছে অভিযোগ করবেন। যদি এর পরেও কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিবে।
[২] গতকাল শনিবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসে বিআরটিএ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে।
[৩] বিআরটিএর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছে। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।
[৪] বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক হবে। এছাড়া ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রাখা হয়েছে।
[৫] গার্মেন্ট মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই।