ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজায় ১৪ হাজার শিশু নিহত
অর্থনীতি ডেস্ক : [১] গত বছরের ৭ অক্টোবরে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের তীব্রতা নতুন করে বাড়তে শুরু করার পর থেকে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৩৫০ শিশু মারা গেছে। যা মোট নিহতের প্রায় ৪৪ ভাগ। ফিলিস্তিনের ৫ এপ্রিল বার্ষিক শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফিলিস্তিনিদের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
[২] টেলিভিশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকারে কারণে প্রতি ঘন্টায় প্রায় চার শিশু মারা যায়। [৩] নিখোঁজদের মোট সংখ্যার অন্তত ৭০ ভাগ মহিলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্করা পৌঁছেছে ৭ হাজারে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে ১১৭ জন শিশু নিহত এবং ৭২৪ জন আহত হয়েছে। [৪] রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের ফলে ফিলিস্তিনের ৮ লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি শিশুর মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি, উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং নিপীডনের শিকার হওয়ায় তাদের এখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের প্রয়োজন হচ্ছে।
[৫] পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুমান করেছে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ফিলিস্তিনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ২৪ লাখ ৩২ হাজার এ দাঁড়াবে। যা মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ।
[৬] এদিকে, আদমশুমারি অনুসারে, গাজা উপত্যকায় প্রায় ৪৩ হাজার ৩৪৯ শিশু এতিম বা পিতামাতা ছাড়াই বসবাস করে। এই জাতীয় শিশুর সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল ২৬ হাজার ৩৪৯।
[৭] স্বাধীনতাকামী গাজার হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে গত বছরের ৭ অক্টোবর অনেকটা আকস্মিকভাবে ইসরায়েলি ভূখ অনুপ্রবেশ শুরু করার পর মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গাজা সীমান্তের কাছে বসবাসকারী অনেক ইসরায়েলি কিবুতজ বাসিন্দাকে হত্যা ও নারী, শিশু এবং বৃদ্ধসহ ২শ’ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে অপহরণ করে।
[৮] জেরুজালেমের ওল্ড সিটির টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামাস এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে। সূত্র : আল জাজিরা, বাসস.