থিসিস বা গবেষণা, রিকমেন্ডেশন লেটার ও ছাত্রদের সাফল্য
ড. কামরুল হাসান মামুন
এবার ছাত্রদের জন্য অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন লিখেছি। একেকজন ছাত্রের জন্য সম্পূর্ণ কাস্টোমাইজড আলাদা লেটার লিখতে হয়। যাদের জন্য লিখেছি তাদের মধ্যে আছে আমার ডাইরেক্ট থিসিস ছাত্র এবং আছে আমার ডাইরেক্ট ক্লাস রুম ছাত্র। এরকম না হলে আমি সাধারণত রিকমেন্ডেশন লেটার লিখি না। একটা রিকমেন্ডেশন লেটার লেখার পেছনে অনেকসময় দিতে হয়। প্রথমে আমি ওদের কাছ থেকেই একটি ড্রাফট চাই। এটা চাইÑ এজন্য আমি তো সবার সব ইনফরমেশন জানি না। দ্বিতীয় কারণ হলো আমি দেখতে চাই শিক্ষার্থী নিজেকে নিজে কীভাবে এসেস করে। এই ড্রাফট রিকমেন্ডশন থেকে আমি ইনফরমেশনগুলো নেই ব্যস। এর বাইরে আর কিছুই না। প্রতিটা রিকমেন্ডশন লেখার সময় শিক্ষার্থীর ক্লাস পারফর্মেন্স, পরীক্ষার পারফরমেন্স ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই মাথায় আনতে হয়। বেশ ইনটেনসিভ সময় দিয়েই লিখি। চেষ্টা করি সততা বজায় রেখে ছাত্রের জন্য সবচেয়ে যতোটা ভালো বলা যায় বলি। এবার আমার তিনজন থিসিস ছাত্র দরখাস্ত করেছিলো। ইতোমধ্যেই আমার তিনজন থিসিস ছাত্রেরই একাধিক জায়গা থেকে অফার এসেছে। হয়তো সামনে আরো পাবে। মানে তিনজনই এবার যাচ্ছে। এর আগের বার ২ জন, তার আগের বার ৫ জন। এরকম প্রতি বছরই অন্তত ২ জন যাচ্ছে। এছাড়া আমার ডাইরেক্ট ক্লাস রুম ছাত্রদের মধ্যেও যাদের জন্য লেটার লিখেছি তাদের প্রায় সবারই হয়েছে। বলা যায় প্রায় সবারই অন্তত ১টি জায়গা থেকে অফার পেয়েছে। এই দিক থেকে বলা যায় শতভাগ সাফল্য।
গত ১০ বছরে আমার সঙ্গে থিসিস বা গবেষণা করে আমেরিকায় যায়নি এমন উদাহরণ নেই। এখন আমার প্রায় ২০-২৫ জন ছাত্র আমেরিকায় আছে যারা আমার সঙ্গে থিসিস করেছে অথবা গবেষণায় যুক্ত ছিলো। এমন হয়েছে কারো কারো থিসিস করার জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ লাগে সেটা ছিলো না তাদের মধ্যেও কয়েকজনকে আমি রিসার্চের কাজে নিয়েছি, যাদের মনে করেছি এরা আসলে এদের অনার্সের রেজাল্টের চেয়ে অনেক ভালো। এদের একজনও আমাকে ভুল প্রমাণ করেনি। বরং তারা আমাকে গর্বিত করেছে। তারা খুবই ভালো করছে। এতো ভালো করছে যে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারভাইজার এখন আমার গ্রুপের ছাত্র খুঁজে। যাদের জন্য রিকমেন্ডশন লেটার লিখেছি তাদের একটা অংশ কোনো অফার লেটার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করে জানায় বা জানিয়েছে। তবে এতো জনের জন্য রিকমেন্ডেশন লিখি সবাই একটু কষ্ট করে জানায়ও না যে তার হয়েছে। অন্য কিছুতো চাই না। কোনো কিছু পাওয়ার উদ্দেশে তো কষ্ট করি না। আর এই কষ্টগুলো চাকরিরই একটা অংশ এবং এর একটা পরম্পরা আছে। আমাদের স্যারেরা আমাদের জন্য লিখেছে, আমরা তোমাদের জন্য লিখছি এবং একসময় তোমার তোমাদের ছাত্রদের জন্য লিখবে। তোমাদের ভালো চাওয়াটাই শিক্ষক হিসেবে আমাদের একমাত্র পাওয়া। কষ্ট করে একটু জানাতে কার্পণ্য করো না প্লিজ। তোমাদের সুসংবাদে তো আমরাও আনন্দটি হই। এই হওয়া থেকে বঞ্চিত করতে চাও কেন? ও ধস রসসবহংবষু ঢ়ৎড়ঁফ ড়ভ সু ংঃঁফবহঃং! ওভ ড়হষু বি পড়ঁষফ ঢ়ৎড়ারফব ঃযবস রিঃয ধ নবঃঃবৎ বহারৎড়হসবহঃ, ঃযবু ড়িঁষফ ঁহফড়ঁনঃবফষু বীপবষ নবুড়হফ বীঢ়বপঃধঃরড়হং. লেখক: পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়