আসেন,একটু অর্থনীতি নিয়ে প্যাচাল পাড়ি
এমডি আলী জামান
অর্থনীতিতে চচচ বলে একটা কথা চালু আছে।এর অর্থ চঁৎপযধংব চড়বিৎ চধৎরঃু. মানে ক্রয় ক্ষমতার সক্ষমতা।
আমেরিকা থেকে এদেশে অনেক খাদ্য সামগ্রী আসে।সেই খাদ্য সামগ্রীগুলো আমাদের দেশে এসে যে দামে বিক্রি হয়,তার চেয়ে অনেকগুন বেশী দামে ওদেশের খুচরা বাজারে বিক্রি হয়। কেন হয়? কারণ ওদেশের মানুষের আয় বেশী। আর স্বভাবতই ক্রয় সক্ষমতাও অনেক বেশী।খাদ্যের একটা ষ্টান্ডার্ড আন্তর্জাতিক বাজার মুল্য আছে।সেই দামেই আমদানি রপ্তানি হয়।
কিন্তু তাহলে আমেরিকার খুচরা বাজারে এর দাম এত বেশী কেন? কারণ- দুইটা।
১। আমেরিকার সরকার এর উপরে অনেক কর ধার্য করে।জনগনের আয় আর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে এই কর ধার্য করা হয়।
২।আমাদের দেশে গজচ মানে গধীরসঁস ৎবঃধরষ ঢ়ৎরপব.আর আমেরিকায় গজচ মানে গরহরসঁস জবঃধরষ চৎরপব.এর কমে সেখানে পণ্য বা সেবা কেনাবেচা চলবে না।ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা দিতে এই সিষ্টেম চালু।ঐ সরকারের নীতি হলো-খুচরা ব্যবসায়ীদের ভাল লাভের সুযোগ দিয়ে বিপুল সেলস ট্যাক্স আদায় করা।
এই সেলস ট্যাক্স ঐদেশের জনগনই দেয়।কিন্তু আয় বেশী থাকায় তাদের গায়ে লাগে না।কিন্তু পণ্যমুল্য অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ইনফ্লেশন তথা মুল্যস্ফীতি দেখা যায়।বৃটেনে এমনটাই ঘটেছে।
একটা বাস্তব উদাহরণ দেই।নীচের ছবির তরমুজের ফালিটি গুলশানের ইউনিমার্ট থেকে নেয়া।এর গায়ে দাম লেখা আছে ৪৭৬৩ টাকা।অর্থাৎ ক্রেতাকে এই দামেই তরমুজের ফালিটি কিনতে হবে।
প্রশ্ন হলো- এত দামে কি পাবলিক এই তরমুজ কিনবে?
উত্তর হলো- কিনবে।কারন,সেই চঁৎপযধংব চড়বিৎ চধৎরঃু.
বিএমডাব্লু,মার্সিডিজ,লেক্সাস,
পাজেরো বা পোর্শে গাড়ীতে করে লোকে এই সব দোকানে যায় শপিং করতে।এদের আয় অনেক বেশী থাকায় দাম তাদের কাছে কোন ফ্যাক্টর নয়…
আপনার আমার আর্থিক সক্ষমতা কম থাকতে পারে,কিন্তু মনে রাখবেন,এদেশের চার কোটি মানুষের আয় অনেক বেশী।তারা ইউরোপীয় ষ্টান্ডার্ডে লাইফ লীড করে।
অর্থনীতিতে জিডিপি আর মাথাপিছু আয় কথাটা খুব প্রচলিত।আমাদের জিডিপি তথা অর্থনীতির আকার, জিডিপি গ্রোথ,মাথাপিছু আয় অনেক বেড়েছে।বলতে পারেন,সেই কারনেই বাজারে কোন কিছু অবিক্রিত থাকে না।এই দেখে সরকার আর মন্ত্রীরা বলে,দেশে কোন সমস্যা নেই।মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেক বেড়েছে।আর তাই বাজারে গিয়ে মানুষ প্রানখুলে বাজার করে।প্রতিবাদ ছাড়াই জিনিসপত্র কেনে।
কিছু লোক অবশ্য ভিন্ন কথা বলে।তারা ধনী দরিদ্রের আয় বৈষম্যের কথা বলে।বলে, সরকারের নেয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারনে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে।আর বিপরীতে অনেক মানুষ দরিদ্র হচ্ছে।
এরা দুর্মুখ।কিছুই পজিটিভলি নিতে জানে না।হুদাই না বুঝে সমালোচনা করে….! লেখক: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসোসিয়েশসেন সভাপতি।