প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ : আইএমএফ
বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] ২০২৪ শে জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপও আগের চেয়ে বাড়বে। এসময়ে গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৯.৩ শতাংশ।
[৩] আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিরও আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
[৩.১] অর্থাৎ ২০২৫ সালে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়ে ৬.৫ শতাংশ হয়ে যাবে। [৩.২] তবে এই সময়ে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কমে ৫.৫ শতাংশ হতে পারে।
[৩.৩] এ ছাড়া চলতি হিসাবে লেনদেনে ভারসাম্যের ঘাটতি অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিবেদনে আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। [৪] গত মঙ্গলবার আইএমএফ সবশেষ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশ করে। [৫] গত অক্টোবরের আইএমএফ জিডিপি ৬ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল।
[৬] নজিরবিহিন তাপমাত্রা ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। অন্যদিকে চীনের পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে শিল্পপণ্যের মূল্যস্ফীতি হতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
[৭] ২০২৪ এ সরকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বছর দুয়েক থেকে মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটের চাপের মধ্যে বাজেটের সময় নির্ধারণ করা এ লক্ষ্য অর্জন নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা।
[৮] বাংলাদেশের আরেক উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি চলতি সপ্তাহেই মনে করছে এ হার হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
[৮] অবশ্য বিশ্ব ব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল।
[৯] ২০২৪ এ বৈশ্বিক অর্থনীতি এগোবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে। গত অক্টোবরে এ হার প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩ শতাংশ। এতে করে আরও এক বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীর গতি দেখা যাবে। তবে ধীরে এগুলেও আগের চেয়ে স্থিতিশীল হবে তা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতিকে টেনে তুলতে জোর লাগালেও চীন ও ইউরোপে চাহিদা কমে যাওয়ার মধ্যে দুই অঞ্চলের যুদ্ধ স্বস্তি দিচ্ছে না।
[১০] আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ এক্স হ্যান্ডেলে রিপোর্ট সম্পর্কে বলেন, মূল্য স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ২০২৪-২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.২ শতাংশ এ স্থির থাকবে। তবে গত বছরের তুলনায় বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গির ঝুঁকি এখন ব্যাপকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ।