৯ মাসে চার স্কিমে যুক্ত ৫৪ হাজার ৬৪৭ ব্যক্তি প্রথম সর্বজনীন পেনশন মেলা হচ্ছে রাজশাহীতে
সোহেল রহমান : [১] দেশের সকল পর্যায়ের নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচী (স্কিম)-এর আওতা বাড়াতে এবং সাধারণ মানুষের মনের শঙ্কা দূর ও সব শ্রেণির মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দেশের ৮ বিভাগে ও ৬৪ জেলায় সর্বজনীন পেনশন মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার রাজশাহী বিভাগে প্রথমবারের মতো মেলার আয়োজন করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে রাজশাহী বিভাগের প্রশাসন।
[২] জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী নগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া মেলা উদ্বোধন করবেন। মেলায় মোট ৭০টির মতো বুথ থাকবে। মেলার স্টলগুলোতে সর্বসাধারণের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অর্থ জমাদানের সুযোগ থাকবে। আর্থিক লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী, সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ থাকছে।
[৩] এছাড়া মেলায় রাজশাহীর ৯টি উপজেলারও পৃথক পৃথক বুথ রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছেÑ গোদাগাড়ী উপজেলা, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পবা ও পুঠিয়া উপজেলা। উপজেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে উপজেলা নির্বাহীর অফিসের নেতৃত্ব একটি বিশেষ টিম। এছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও সামাজিক বিভিন্ন সংস্থাগুলো অংশগ্রহণ করবে। সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যাতে সব স্তরের জনগণ মেলায় এসে সর্বজনীন পেনশনের সুবিধাগুলো সরাসরি জানতে পারে। থাকবে কর্মশালা ও উন্মুক্ত আলোচনা।
[৪] জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্য মতে, চালু হওয়ার পর গত ৯ মাসে চারটি স্কিমে নিবন্ধন নিয়ে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন ব্যক্তি।
[৫] জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের মতে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যেভাবে মানুষ অংশ নিচ্ছে, এতে খুব শিগগিরই নিবন্ধনকারীর সংখ্যা লাখে চলে যাবে। মাঝখানে কিছুদিন ধীরগতি ছিল, এখন মানুষের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বেড়েছে। এ গতি অব্যাহত থাকবে এবং গতি অব্যাহত রাখার একটি অংশ হিসাবেই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
[৬] জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পেনশন কর্মসূচীর বিষয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিটি, জেলা কমিটি এবং উপজেলা কমিটিও গঠিত হয়েছে। এখন জাতীয় কমিটি বিভাগীয় কমিটির কাছে যাচ্ছে পেনশন কর্মসূচীর বিষয়ে একসাথে কাজ করার জন্য। এর মানে হচ্ছে সব পর্যায় থেকে একযোগে কর্মসূচিকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ। যেখানে থাকছে- মাঠ প্রশাসন, জন প্রশাসন, লোকাল এলিট শ্রেণি ও সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সবাই একটি প্ল্যাটফর্মে এসে মিলেমিশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।