পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চার মাসে ২৭ বস্তা টাকা
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : [১] কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ১০ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। দানবাক্সের (সিন্দুক) টাকাগুলো ২৭টি বস্তায় ভরা হয়েছে।
[২] গতকাল শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের এসব দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৩] তিনি জানান, ৯টি দানবাক্সের ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা পড়েছে সেটা জানা যাবে। গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
[৪] সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার রমজানের কারণে চার মাস ১০ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে।
[৫] এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের (২০২৩ সাল) ৯ ডিসেম্বর মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
[৬] কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়।
[৭] এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
[৮] সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূরদূরান্তের মানুষও এখানে মানত কর