আনু ভাই, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন
ইজাজ আহমেদ
আনু ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়ের বয়স চল্লিশ বছর। দীর্ঘ একটা সময়। একদা সাপ্তাহিক বিচিত্রায় তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তারপর বহু রাজনৈতিক সামাজিক উত্থান পতনে আনু ভাইকে পেয়েছি পথে, মিছিলে। শান্ত অথচ একরোখা মানুষ। অর্থনীতি পড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সামাজিক গবেষণার কাজ করেছেন। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মানুষও তিনি। মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে কখনো পেছনের সারিতে দেখিনি তাকে।
রোববার সকালে ট্টেন থেকে নামতে গিয়ে হঠাৎ পরে গিয়ে আনু ভাই তার পায়ের আঙুল হারিয়েছেন। খবরটা পেয়ে কষ্ট পেয়েছি। অনু ভাইয়ের মতো একজন মানুষের জন্য মনের মধ্যে বেদনা তৈরি হয়েছে। দূর্ঘটনা তো দূর্ঘটনাই। যে কারো জীবনে ঘটতে পারে যে কোনো সময়ে। কিন্তু আমার মনে আরও বিষাদ জড়ো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই দূর্ঘটনা নিয়ে নানান মানুষের বক্রোক্তি পড়ে।
অবাক লেগেছে ভেবে, এরকম একজন মানুষের এমন বিপদের দিনে সমবেদনা প্রকাশ না করে তিনি কেনো ট্রেন থেকে নামতে গেলেন, হঠাৎ কেনো মাঝপথে নামার চেষ্টা করলেন এসব প্রশ্ন তাদের মাথায় এলো! কেউ কেউ তার কাছে টিকেট ছিলো কি না এমন প্রশ্নও তোলার চেষ্টা করেছে।
আমরা আসলে রাজনৈতিক বিভক্তির শিকার হয়ে এক ধরণের নিচু মানসিকতাকে নিজেদের মনের দখল নিতে দিয়েছি। এই মানসিকতা আমাদের সব মানবিক বোধকেও খেয়ে ফেলেছে। কোন পথে চলেছি আমরা?