সাড়ে ৮ বছরের বেতন-ভাতা পাবেন উপসচিব কামরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দাখিল হওয়ায় ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন তৎকালীন উপসচিব মো. কামরুল আলম। [২] পরে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে সেই মামলা থেকে কামরুল আলমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
[৩] এর পরিপ্রেক্ষিতে কামরুল আলমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে বরখাস্ত শুরুর তারিখ অর্থাৎ ১২-০২-২০১৫ থেকে ৩০-১২-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সময়কে কর্মকাল হিসেবে গণ্য করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি সাড়ে ৮ বছরের বেতন ও ভাতা পাবেন।
[৪] জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। [৫] এতে জানানো হয়, উপসচিব মো. কামরুল আলমকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ২২-০৪-২০১৩ তারিখে দায়ের করা ২১ নম্বর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডবিধির ১৬১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে সুনামগঞ্জ সদর থানার ১৩-০৮-২০১৪ তারিখের চার্জশিট নম্বর-১৩৪ দাখিল হওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১২-০২-২০১৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
[৬] প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন উপসচিব মো. কামরুল আলমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮-১২-২০২৩ তারিখের প্রজ্ঞাপনে ৩১-১২-২০২৩ থেকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
[৭] বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত, সিলেট থেকে গত ১২-১১-২০২৩ তারিখে দেওয়া রায়ে বর্ণিত মামলা থেকে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব মো. কামরুল আলমকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে এ খালাস আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।