তীব্র গরম, অতিবেগুনি রশ্মি ও সুস্থতা
ডা. লেলিন চৌধুরী
চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। মানুষজন নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এসময়ে উচ্চমাত্রার তাপের অন্যতম সহযোগী হচ্ছে সুতীব্র রোদ। রোদে থাকে অতিবেগুনি বা আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি। এই রশ্মি দ্বারা মানুষ ও জীবতগতের ব্যাপক স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সূর্যালোকে অতিবেগুনি রশ্মি বেশি থাকে। অতিবেগুনি রশ্মির জন্য চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া। বিশেষ ধরনের চক্ষু ওঠা রোগ (চযড়ঃড়শবঃধঃরং ও চযড়ঃড় পড়হলঁহপঃরারঃরং), চোখ ব্যথা, চোখের ছানিপড়া ইত্যাদি রোগ হতে পারে। শরীরের চামড়ায় রৌদ্রদাহ (ঝঁহনঁৎহ), অ্যালার্জি ও চুলকানি হয়। এছাড়াও শরীরের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া এবং কয়েক ধরনের ত্বক-ক্যান্সার হতে পারে। রোদে অতিবেগুনি রশ্মির নিরাপদ মাত্রা হচ্ছে ০-২ পর্যন্ত, মৃদু ক্ষতিকর ৩-৪, মধ্যম ক্ষতিকর ৫-৬ ও বেশি ক্ষতিকর মাত্রা হচ্ছে ৭-৯, অত্যন্ত বা তীব্র ক্ষতিকর মাত্রা হচ্ছে ১০ এবং ১০+।
ঢাকায় গত কয়েকদিন যাবৎ রোদে অতিবেগুনি রশ্মির মাত্রা থাকছে ১০-১১। ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচার জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রোদে বের না-হওয়া উত্তম। রোদে বের হলে শরীর ঢাকা ঢিলেঢালা সুতির পোশাক, মুখমণ্ডল ও হাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং একনাগাড়ে ১৫-২০ মিনিটের বেশি রোদে না-থাকা। লেখক : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ