নেপাল কাতারের শ্রমিকের নিরাপত্তায় ইন্সুরেন্সের চুক্তি আমরা বিষয়টি নিয়ে কোন আলোচনাই করিনি
বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] বাংলাদেশ ও নেপাল সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানবাধীকার সংগঠন কাতারের আমিরকে একটি চিঠি দেয়। তারা জানায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের শ্রমিকদের মানবাধীকার লংঘিত হচ্ছে কাতারে। তাদের ন্যায্য মুজরি ও মৃত্যুর ক্ষতিপুরণ দেয়া হচ্ছে না।
[২] কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের সময় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক মারা যান। এরমধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০০। কাতার সরকার এই শ্রমিকদের কোন ক্ষতিপূরন দেয়নি।
[৩] নেপাল কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমেই চুক্তি করেছে সেই দেশে কর্মরত তাদের দেশের শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ি সম্পূর্ণ ইন্সুরেন্স সুবিধা দিতে হবে। বর্তমানে কাতারে ৪ লাখ নেপালি শ্রমিক কাজ করছে।
[৪] নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোদেল একই সঙ্গে কাতারের আমির শেখ তাহমিদ বিন হামাদ আল তানিকে অনুরোধ করেন হামাসের হাতে জিম্মি নেপালি ছাত্র বিপিন জোসিকে মুক্তির বিষয়ে সহযোগীতা করার।
[৫] ইসরাইলে হামাসের হামলায় নেপালে ১২ জন নেপালি ছাত্র মারা যান ও ১০ জন আহত হয়েছেন।
[৬] এরবাইরে নেপালের সঙ্গে কাতার চুক্তি করেছে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের। এই চুক্তির আওতায় নেপালের ছাত্ররা কাতারে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৃত্তি পাবে। নেপালে ফুটবলের উন্নতিতে স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিবে কাতার। অন্যদিকে বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মানে কাতার নেপালকে সহযোগীতা করবে। [৭] অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে তা হলো সম্পূর্ণই গতানুগতিক। কাতারের সঙ্গে আমাদের এলএনজি আমদানিতে কোন ছাড় কিংবা শ্রমিকদের নিরাপত্তায় কোন ব্যবস্থা এই চুক্তিগুলোতে উঠে আসেনি।
[৮] বাংলাদেশ ও কাতার দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে পাঁচটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।