বৈশাখ মাসে গরম একটু বেশি হলেও পুরোসময় রোদ থাকা ভাল
কাজল দাস
দিনে রোদ রাতে বৃষ্টি এরকম হলে বেশ হতো। পরিবেশ শীতল থাকতো। কিন্তু এরকম যেহেতু হবে না। ফলে রোদের বিকল্প নাই।এই মাসে ধান কাটা হয়। শুকানো হয়। সেই সাথে রোদে খড় শুকিয়ে গরুর জন্য খাবার মজুদ করতে হয়।
পুরো দেশের খাদ্য অর্থনীতি নির্ভর করে এই মাসের রোদের উপরে। যদি অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় তাহলে হাওড়ে পানি জমে যেতে পারে। কাটা ধান রোদে না শুকাতে পারলে জাগ দেয়া ধানে দুর্গন্ধ হলে খাবারের অনুপযোগী হতে পারে।বিছালি না শুকাতে পারলে গো-খাদ্যের আকাল দেখা দিবে।কিন্তু এই সময়ে দেশের শিক্ষিত ও নাগরিক জনগোষ্টী মরে যাচ্ছে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করে।এরা ব্যাঙের বিয়ে বনাম ইস্তেকার নামাজ নিয়ে রীতিমতো সোশাল মিডিয়ায় ম্যাৎকার করে বেড়াচ্ছে। একটা শিক্ষিত, নির্দয় এবং রুটলেস জনগোষ্ঠী এই দেশে তৈরি হচ্ছে যারা বাজারের চাল, ডাল, সবজি আর ফলমূলের দাম নিয়ে চিন্তিত হলেও কৃষক এবং কৃষি অর্থনীতির প্রতি সহানুভূতি দেখাতে নারাজ। কৃষকের স্বার্থ ও সুরক্ষা ব্যাপারে এরা উদাসীন।এরা সবাই চাকরি করে বাবু হয়ে গেছে। তাদের ভাব এমন ধান ফলাবে কৃষক আর কৃষকের বউ বাচ্চা।কিন্ত গ্রামের সেই কৃষক আর বসে নাই। সেও জমি বিক্রি করে ছেলেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাচ্ছে। ইউরোপে পাঠাচ্ছে। তার বউ বাচ্চা নিয়ে সেও গার্মেন্টমুখী।ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।
কৃষি ক্ষেতে মজুরের সংকট বাড়ছে। উৎপাদনশীলতা যন্ত্র নির্ভর হচ্ছে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ সহ যাবতীয় কিছু কিনতে গিয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বাড়ছে।
এসব নিয়ে নাগরিক সমাজ খুব একটা চিন্তিত না। কিন্ত বাজার কেন আগুন সেটা নিয়ে খুবই কান্নাকাটি এদের। কৃষি অর্থনীতি সেইফ না করতে পারলে এই দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশগত বিপর্যয়ের দিক হতেও। এইসব নিয়েও কেউ চিন্তিত না।