শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ
ইমরুল শাহেদ : [১] যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন (ইউটি অস্টিন) এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (ইউএসসি) থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ তীব্র হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা
[২] হার্ভার্ড ও ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন। এছাড়া নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে টেক্সাস, ইয়েল, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগানের মতো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ইসরায়েলের গণহত্যা বিরোধী প্রতিবাদ।
[৩] সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার কথায়, ১৯৩০’র দশকে জার্মানিতে যেভাবে ইহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছিল সেটাই আবার ফিরে আসছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
[৪] গত অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান শেষ হবে না বলে সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস ছাড়াও এই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘসহ একাধিক দেশ এই অভিযানের নিন্দা করেছে। ইজরায়েলি অভিযানকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ। এমনকি গাজায় হামলা নিয়ে ইজরায়েলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তবে নিজের লক্ষ্যে অবিচল নেতানিয়াহু।
[৫] এই পরিস্থিতিতেই গত সপ্তাহে ইজরায়েলের জন্য বিরাট অঙ্কের সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তার পর থেকেই সেদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবাদ। মার্কিন সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার থেকে শুরু করে গাজায় যুদ্ধবিরতি- নানা দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনেরও ডাক দিয়েছেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন শতাধিক।
[৬] শিক্ষাঙ্গনের এই প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ বলে মনে করছেন ইজরায়েলপন্থী শিক্ষার্থীরা। সেই সুরই শোনা গেল নেতানিয়াহুর গলায়ও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে হিটলারের ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদকে তুলনা করেছেন তিনি। নেতানিয়াহুর কথায়, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যা হচ্ছে সেটা ভয়ংকর। ইহুদিবিদ্বেষীরা ক্যাম্পাসের দখল নিয়েছে। ১৯৩০ দশকে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। এসব দেখে গোটা বিশ্বের চুপ থাকা উচিত নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন প্রশাসন।