ব্যাংক প্রতারণা ঠেকাতে ভারতে আইন বদল করা হচ্ছে
বিশ্বজিৎ দত্ত : ]১] পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, ২০২১ সাল থেকে তিন বছরে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যাংক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাখা প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হারিয়েছেন ভারতের সাধারণ মানুষ।
[২] ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যাংক জালিয়াতি। ভারতের দাবি, তা ঠেকানোর জন্য গত তিন মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে প্রতারণায় বিশেষ ভাটা পড়েছে এমন নয়।
[৩] সূত্রের খবর, এ বার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রিজার্ভ ব্যাংক। সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোকে সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য ব্যাংকিং বিধি পরিবর্তন করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে তারা। যদিও শীর্ষ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চায়নি।
[৪] সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, প্রতারক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিলেও, গ্রাহক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে ব্যাংক কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। তার পরেও পদক্ষেপ করতে অনেকটা সময় গড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু যে সমস্ত অ্যাকাউন্টকে কাজে লাগিয়ে এই প্রতারণা চলছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে যাতে ব্যাংকগুলো দ্রুত পদক্ষেপ করে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সেই স্বাধীনতা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিধি সংশোধন করতে চাইছে তারা। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইবার অপরাধ দমন শাখা ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শীর্ষ ব্যাংক।