নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] বাংলাদেশসহ ৬টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে ভারত। অন্য দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। গতকাল শনিবার ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
[২] এতে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে নিম্ন খরিপ ও রবি মৌসুমে দেশের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এসব দেশে পেঁয়াজ রফতানি করে ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)। সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্লাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে।
[৩] যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল। এখন যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী মহারাষ্ট্র। তারাই এনসিইএল’কে রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ দিয়ে থাকে।
[৪] এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ।
[৫] এছাড়াও দেশটির সরকার অতিরিক্ত ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এসব পেঁয়াজ মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কিছু দেশে রফতানি করা হয়ে থাকে। সাদা পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এর দামও তুলনামূলক বেশি।
[৬] ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে দেশটির সরকার গত বছরের ডিসেম্বরে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পরে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়। পেঁয়াজ রপ্তানির নতুন সিদ্ধান্ত ভারতের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর জন্য সুখবর।