আতিউর রহমান
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নটি মুখ্য বিবেচনায় রেখেই এবারের বাজেটটি পেশ করা হবে। তাই বরাবর যে মাত্রায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বাড়ানো হয় এবার তা হচ্ছে না বলেই মনে হয়। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থেই এবার সংকোচনমুখী বাজেট হতে যাচ্ছে। এর প্রভাবে আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির ওপর নিশ্চয় পড়বে। মূল্যস্ফীতি, টাকার মানের অবমূল্যায়ন এবং ডলার সরবরাহে কমতির কারণে বিনিয়োগে যে খরা দেখা দিয়েছে, তা তো স্বীকার করতেই হবে। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগপ্রবাহ অতটা বলশালী না হওয়ায় আমাদের প্রবৃদ্ধি মূলত নির্ভর করে সরকারি ব্যয়ের ওপর।
উভয় খাতেই বিনিয়োগ বাড়াতে হলে বাজেট এবং মুদ্রানীতির একটি কার্যকর ও সময়োচিত সমন্বয় নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতি-মনোযোগ দরকার। কেননা বহিঃঅর্থনীতির চ্যালেঞ্জ, রিজার্ভ ক্ষয়রোধ, ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, বিনিময় হারে ভারসাম্য রক্ষার মতো বড় চ্যালেঞ্জগেুলো মোকাবেলা করতে সরকারের বাজেট এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। লেখক : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক