অর্থনীতি ডেস্ক : [১] পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত প্রদেশটির রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত ছিল। [২] পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর কোয়েটা ভ্যালিতে অল্প সময়ের ব্যবধানে দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হয়। এতে শহরের প্রধান রাস্তা এবং অন্যান্য সড়ক প্লাবিত হয়। আকস্মিক বন্যায় অঞ্চলটির অসংখ্য বাড়িঘর ভেসে যায়। বিভিন্ন এলাকায় ভারী যানজটেরও দেখা দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
[৩] বন্যার পানিতে পাকিস্তানের নুশকি জেলার কোয়েটা–তাফতান মহাসড়কের কিছু অংশ ডুবে যাওয়ায় ইরান থেকে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী একটি বিশাল ট্যাংকার উল্টে যায়। আকস্মিক বন্যার পানি ট্যাংকারটিকে মূল মহাসড়ক থেকে সরিয়ে ফেলে। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৌসুমি খালে গিয়ে পড়ে। চালক ও অন্যান্য আরোহীরা নিরাপদে গাড়ি থেকে বের হতে পেরেছেন।
[৪] বোলান নদী, নারি গজ–মুলা নদী এবং অন্যান্য মৌসুমি নদীর ওপর দিয়ে ভারী বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীগুলোর অববাহিকা অঞ্চলগুলোতেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
[৫] জিয়ারাত, কোয়েটা, কালাত, কান মেহতারজাই, পিশিন এবং উত্তর বেলুচিস্তানের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। গরম কাপড় পরার পাশাপাশি ঘর উষ্ণ রাখতে গ্যাস হিটার চালু করতে বাধ্য হচ্ছে বাসিন্দারা।
[৬] গত দুই দফা বৃষ্টিপাতের সময় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশটির প্রাদেশিক রাজধানী। আবারও শহুরে বন্যার কবলে পড়েছে অঞ্চলটি। রাতভর ভারী বৃষ্টিপাত কেবল নিচু এলাকাতেই নয়, কোয়েটার প্রধান অংশেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
[৭] জিন্নাহ রোড, কান্দাহারি বাজার, লিয়াকত রোড, প্রিন্স রোড, জারঘুন রোড, সিরকি রোড, গাওয়ালমন্ডিসহ মূল শহরের প্রায় সব সড়ক হাঁটু সমান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে কোয়েটাসহ বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতসহ আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।