মো. আখতারুজ্জামান : [১] চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এর মাধ্যমে বিগত বছরের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। যদি লবণ মৌসম এখনও চলমান রয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। বিসিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
[২] জানা যায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)-এর মাধ্যমেই ১৯৬১ সাল থেকে দেশে পরিকল্পিতভাবে লবংণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। সেই হিসেবে ৬৩ বছরের মধ্যে চলতি অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না থাকায় ও কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় লবণ উৎপাদন বেশি হয়েছে।
[৩] বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সকল উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
[৪] বিসিক জানিয়েছে, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর, গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন।
[৫] গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।
[৬] দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লবণ গবেষণা ইনস্টিটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। লবণ গবেষণা ইনস্টিটিটিউট স্থাপিত হলে লবণ চাষের আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যাবে। সেইসঙ্গে সমুদ্র উপকূলীয় অন্যান্য জেলায় লবণ চাষ সম্প্রসারণ, লবণ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। গুণগত মানসম্পন্ন অধিক পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হবে। ফলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করা সম্ভব হবে।