সোহেল রহমান : [১] চালু হওয়ার প্রায় সাড়ে আট মাসের মাথায় সোমবার সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ১ লাখে উন্নীত হয়েছে।
[২] ওইদিন-ই গণমাধ্যমে প্রেরিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
[৩] বিষয়টিকে মাইলফলক ও একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকলের সহযোগিতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে নিবন্ধনকারী চাঁদাদাতাদের অর্থ থেকে নিরাপদ ট্রেজারি বন্ডে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
[৪] সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন-কে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। পেনশন কর্মসূচীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশন্ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিভাগ ভিত্তিক মনিটরিং-এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা নিয়মিতভাবে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক নিবন্ধন মনিটরিং ও বাস্তবায়ন করছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে সকল শ্রেণী-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে সোমবার সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ১ লাখে উন্নীত হয়েছে।
[৫] প্রসঙ্গত: দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরবর্তীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে সম্প্রতি সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামে নতুন একটি স্কিম চালু করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদানকারী কর্মচারিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করা হবে।