বিশ্বজিৎ দত্ত : [১]বিশ্ব নৌশক্তি রেংকিং২০২৪ এ প্রকাশিত তথ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই রেংকিং করা হয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বে এই রেংকিংটি করে ওয়ার্ল্ড ডাইরেক্টরি অফ মর্ডার্ন মিলিটারি ওয়ারশিপ। এটি একটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক রেংকিং সংস্থা।
[২]এই রেংকিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে পাকিস্তানের অবস্থান ২৯ তম। আর ভারতের অবস্থান সপ্তম।
[৩] রেংকিং সম্পর্কে সংস্থাটি জানায়, তারা বাহিনীর সংখ্যা দিয়ে এই রেংকিং করেনি। তারা এই রেংকিং করেছে, আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ, লজিস্টিক, শিপইয়ার্ড। সেনাদের দক্ষতা। বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতার উপর নির্ভর করে। এখানে ছোট টহল জাহাজগুলিকে যুদ্ধ জাহাজের বাইরে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে ৫০টি ইউনিট রয়েছে। নৌশক্তির দিক অস্ট্রেলিয়া ও ইজরাইলে উপরে রয়েছে বাংলাদেশ।
[৪] বাংলাদেশের নৌ শক্তির হিসাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন রয়েছে। একটির নাম নবযাত্রা ও অন্যটির জয়যাত্রা। ফ্রিগেট রয়েছে ৭টি, করভেট্টেস ৬টি, মাইনওয়ারফেয়ার ৫টি, অফসোর পেট্রোল ভেসেল ৩০০টি, এমফিবিয়াস এসাল্ট ১৬টি।
[৫] ভারতের নৌবাহিনীর ১৬০টি যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। ২৫টি সাবমেরিন, ৩০০ এয়ার ক্রাফট, পারমানবিক সাবমেরিন, ৬৮টি যুদ্ধ জাহাজের ক্রয়াদেশ রয়েছে। অন্যদিকে রেংকিংয়ে ২৯ নম্বরে থাকা পাকিস্তানের সাবমেরিন ৮টি, পারমানবিক সাবমেরিন নাই। ডেস্ট্রয়ার ২টি, পিগেট ৭টি, করভেট্টিস ৩ ও অফসোর ভেসেল ১১টি ও ১৫টি যুদ্ধ জাহাজ ক্রয়ের তারিকায় রয়েছে।
[৬] বিশ্বের প্রধান ১৬টি নৌশক্তির মধ্যে প্রথমেই রয়েছে,যুক্তরাষ্ট্র,এরপরে চীন, রাশিয়া তৃতীয়, ইন্দোনেশিয়া চতুর্থ, দক্ষিণ কোরিয়া পঞ্চম, জাপান ষষ্ঠ, সপ্তম ভারত, ফ্রান্স অষ্টম, নবম যুক্তরাজ্য, দশ নম্বরে তুরস্ক, এগার নম্বরে ইতালি, ১২ নম্বরে তাইওয়ান, ১৩ নম্বরে মিশর, ১৪ নম্বরে উত্তর কোরিয়া, ১৫ নম্বরে আলজেরিয়া ও ১৬ নম্বরে বাংলাদেশ।
[৭] বাংলাদেশের নৌশক্তির উন্নতিতে এক্স হ্যান্ডেলে অনেক বাংলাদেশেই উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য হলো আগামীতে বাংলাদেশ ১০ নম্বর নৌশক্তিতে আসতে পারবে। ভারতের নৌশক্তি আরাে বেশি বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তানের নৌশক্তির অবস্থান দেখে অনেক পাকিস্তানি হতাশা ব্যাক্ত করেছেন। তবে ইন্দোনেশিয়ার চতুর্থ নৌশক্তির বিষয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।