ওয়াসী মাহিন
ইয়ামেনি হুতিদের সক্ষমতা ও সফলতা অবাক করার মত। আলজাজিরার সুত্রমতে হুতিরা সফলভাবে ইয়েমেনের আকাশে মার্কিন এটাক ড্রোন গছ-৯ রিপার ভুপাতিত করেছে। আমেরিকান নিউজ মিডিয়া ঈইঝ ঘবংি এর সূত্রে মার্কিন ড্রোন ইয়েমেনে ক্রাশ করেছে। হুতিদের দাবি অনুসারে গত নভেম্বর থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত তারা ৩ টা মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল। হুতিতের এন্টিশিপ মিসাইল সরাসরি এমভি এন্ড্রোমিডা স্টার কার্গো জাহাজে আঘাত করেছে। লোহিত সাগরে কার্গো জাহাজে আক্রমত এবং সফল হিট গাল্ফ অব এডেন থেকে শুরু করে পোর্ট অব জিবুতি পর্যন্ত জাহাজা চলাচলে বড় রকমের ত্রাসের সৃষ্টি করবে।
আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে কয়েক দফা জাতিসংঘে ভেটোর প্রয়োগ হয়েছে। ফিলিস্তিনের সদস্য হওয়ার বিলে ১২ টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। একটি দেশ বিরত থাকে। শুধুমাত্র আমেরিকা ভেটো দিয়েছে। পরবর্তী আলোচনা ছিল আরো বেশি উত্তেজনাপূর্ন। মাল্টা, আলজেরিয়া, চীন, রাশিয়া সহ প্রায় সব দেশ শক্ত ভাষায় তাদের হতাশা জানিয়েছে। ইজরাইলের প্রতিনিধির বক্তব্য শুরুর সাথে সাথে রাশিয়ার দূত চেয়ার ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে মহাকাশে আনবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে আমেরিকা ও জাপানের আনিত বিলে রাশিয়া ভেটো দেয়। রাশিয়ার বক্তব্য শুধু আনবিক নয় বরং মহাকাশে সব ধরনের সামরিকিকরন ও অস্ত্রের ডিপ্লোয়মেন্ট বন্ধ করতে হবে। শুধু ডগউ নয়। প্রস্তাবের সংশোধন চেয়ে রাশিয়া ভেটো দেয়। এদিকে চীনের সাথে ভয়ংকর সম্পর্কে মোড় নিয়েছে। সাম্প্রতিক চীনের বক্তব্যগুলি চীনসূলভ বক্তব্য নয়। চীনকে কখনো এতটা এগ্রেসিভ ভূমিকায় দেখা যায়নি। ফিলিস্তিন প্রশ্নে চীনা দূতের বক্তব্য। চীন সফরে ব্লিংকেনের বক্তব্যের বিপরীতে কড়া বক্তব্য প্রদান মনে করিয়ে দিচ্ছে চীন হয়ত আরো সক্রিয়ভাবে ভূরাজনীতিতে অংশ নিবে। আমেরিকার পক্ষ থেকে চিনের উপর আরো অবরোধের হুমকি দেয়া হয় এই যুক্তিতে যে চীন রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সহায়তা করছে। চীনের বক্তব্যে পালটা আমেরিকাকে দোষী করা হয়েছে যুদ্ধ রপ্তানির জন্য।
ইরানের ৩৫০ মিসাইল ও ড্রোনের অটোপসি দেখে ইজরাইলের মিডিয়া অনুসারে অধিকাংশ মিসাইলের ইঞ্জিনে চীনের ট্যাগ পাওয়া গেছে অভিযোগ আনা হয়। আবার অন্যান্য রিপোর্টে নর্থ কোরিয়ার মিসাইল টেকের সাথেও সাদৃশ্য থাকার বিষয়টি এসেছে। সে হিসাবে সল্প কথায় ধরে নেয়া যায়, নতুন এলায়েন্সে চীন, রাশিয়া, ইরান, কোরিয়ার ভেতর কার্যকর সামরিক সহযোগিতা চলমান। হুতিদের সক্ষমতার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে মার্কিন প্রযুক্তিকে ক্ষুদ্র প্রয়াসে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে বলেও ধরে নেয়া যায়।
বিশ্ব পরিস্থিতি ইরাক হামলা বা টুইন টাওয়ার হামলার সময়েও এতটা উত্তপ্ত ছিল বলে মনে হয়না। এর পেছনে ক্ষয়িষ্ণু মার্কিন শক্তির একটা ইঙ্গিত আছে। সময়ের অভাবে এই বিষয়ে পূর্নাঙ্গ লেখার ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হয়ে উঠেনি। ইনশাআল্লাহ সামনে সেই চেষ্টা থাকবে। লেখা : ব্যাংকার