বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ২০২০ সালে বলেছিলাম দেশে তথ্য পাওয়ার অধিকারকে অবাঞ্চিত করা হয়েছে। ২০২২ সালে বলেছিলাম, দেশে তথ্য-উপাত্তের নৈরাজ্য ছিল।
[২] ২০২৪ সালে এসে বললাম, দেশে তথ্য-উপাত্তের অপঘাত হয়েছে (আকষ্মিক মৃত্য)। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তারই প্রমাণ। এই ৩ কথা বলেছি, গত ৪ বছর ধরে দেশের তথ্য প্রবাহের উপর সরকারের ধারাবাহিক নানা কার্যকালাপ পর্যবেক্ষণ করে।
[৪] গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে তারই প্রতিষ্ঠিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) উদ্যোগে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় একথা বলেন তিনি।
[৪] তিনি আরও বলেন, জনমানুষের প্রত্যাশার জায়গা, তথ্য-উপাত্তের বড় স্তম্ভ বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা বিবিএসর তথ্যের আগেই রপ্তানি-আমদানিসহ আর্থিক সূচক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপরে নির্ভর ছিলাম। এখন কেনো তথ্যের অপঘাত করা হলো, এতে সুনাম হানি ঘটবে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
[৫] তিনি পরে টেলিফোনে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিজেদের নাকি রাজনৈতিক। যদি জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তবে এটি রাজনৈতিক। কেননা জনস্বার্থের সিদ্ধান্ত নেন জনপ্রতিনিধিরা।
[৬] ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, তথ্য কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। আজ ব্যবসায়ীরা তথ্য পাচ্ছে অথচ সাংবাদিকরা পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীকে তথ্য দিলে তো বাজার এর প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশ করতেই দেওয়া হচ্ছে না। কেনো তথ্য প্রকাশ হলে বড় ধরনের নাশকতা হবে? নাশকতাকারী কি অর্থনৈতিক সাংবাদিক?