![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড জরুরী : ঢাকা চেম্বার সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] বৈশি^ক নামীদামী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবত্যা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারী সংস্থাগুলোতে ইএসজি রিপোর্টিং’র ব্যবহার জরুরী বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
[২] শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশে ইএসজি কমপ্লায়েন্সের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এবং বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)-এর মহাপরিচালক মু. আনোয়ারুল আলম উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। [৪] অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারী সংস্থাগুলোতে ইএসজি রিপোর্টিং’র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ইতিবাচক একটি বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিষয়ক গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন লিস্টেড কোম্পানীগুলোর জন্য তাদের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে ইএসজি রিপোটিং’র অন্তভূক্তি বাধ্যতামূলক করেছে। [৫] ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ইএসজি বাস্তবায়নে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালায় ইএসজি কমপ্লায়েন্স বিষয়টি অন্তর্ভুক্তিরও প্রস্তাব করেন।
[৬] শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, প্রতিটি খাতেই কমপ্লায়েন্স অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স বিশ^াসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে থাকে। পরিবেশগত কিংবা সামাজিক কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে আমাদের প্রত্যেককে আলাদা-আলাদা ভাবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। [৭] ২০১৬-২০২২ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৭টি পণ্যের জিআই প্রদান করা হয়েছে। তবে ২০২৩ হতে এ পর্যন্ত মোট ১৪টি পণ্যের জিআই সনদ প্রদান করা সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি ৩০টি পণ্যের জিআই প্রদানের প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে।
[৮] বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)-এর মহাপরিচালক মু. আনোয়ারুল আলম বলেন, বাংলাদেশে স্মার্ট অর্থনীতির রূপান্তর করতে হলে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে, যার সাথে ইএসজি’র উপর আরো অধিক হারে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের কোন বিকল্প নেই। তিনি আমাদের শিল্প-কারখানার ইএসজি’র রিপোর্টিং-এর আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে দেশের ল্যাবরেটরি সমূহের মান উন্নয়নের উপর জোরারোপ করেন।
[৯] আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিডো’র আবাসিক প্রতিনিধি জাকি উজ্জ জামান। তিনি বলেন, ৯০ এর দশকে বৈশি^কভাবে ইএসজি’র বিষয়টি চালু হয়েছে, যেটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোম্পানীর ঝুঁকি হ্রাস ও মুনাফা অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
[১০] তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু এলডিসি উত্তরণের পথে রয়েছে, এমতাবস্থায় ইএসজি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। তবে ইতোমধ্যে কিছু বাংলাদেশী কোম্পানী ইএসইজ কমপ্লায়েন্স রিপোটিং বাস্তবায়ন করেছে। ইএসজি বাস্তবায়নে পরিবেশগত তথ্যাদি সংরক্ষণের উপর তিনি জোরারোপ করেন, যা কিনা এটি বাস্তবায়নে আরো সহজতর হতে পারে। এছাড়াও ইএসজি কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে দক্ষতা বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন, সেই সাথে আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও প্রস্তাব করেন।
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)