অর্থনীতি ডেস্ক : [১] চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য এবছর গরু, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে সাড়ে ৮ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।গতবারের মতো এবারও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারিভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। [২] প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে এবার সম্ভাব্য কোরবানির পশুর চাহিদা ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি গরু, ৭১ হাজার ৩৬৫টি মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩টি ছাগল, ভেড়া ৫৮ হাজার ৬৯২টি ও অন্যান্য পশু ৮৮টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য পশুর মজুদ হয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি পশু। ফলে ৩৩ হাজার ৪০৬টি পশুর ঘাটতি রয়েছে।
[৩] চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে। উপজেলাটিতে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮২ হাজার ৮০৭টি। বিপরীতে কোরবানির পশুর চাহিদা ৭৯ হাজার ৬৩৮টি।
[৪] চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ২৫৮টি পশুর খামার রয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খামার। জেলার মিরসরাই, কর্ণফুলী, পটিয়া, সীতাকুন্ড, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার খামারগুলোতে কোরবানির জন্য বেশি পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে। ফলে কোরবানিতে বিদেশি পশুর প্রতি নির্ভরশীলতা কমেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিদেশ থেকে গুরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।
[৫] জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো নজরুল ইসলাম বলেন,আশপাশের জেলাগুলোর চাইতে চট্টগ্রামের মানুষ বেশি কোরবানি দেন। ফলে প্রতি মৌসুমে কোরবানির পশুর ঘাটতি থাকে। চট্টগ্রামের ঘাটতি পূরনে পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখান থেকে চট্টগ্রামে পশু এনে চাহিদা পূরণ করা হবে। এছাড়া প্রতি বছর দেশের উত্তরাঞ্চলের পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে চট্টগ্রামে কোরবানির পশু আসে। সবমিলিয়ে আমরা মনে করছি পশু ঘাটতির খুব একটা সমস্যা হবে না। সূত্র : জাগোনিউজ২৪