নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
[২] তিনি বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমরা তো চিরকালের জন্য কর অব্যাহতি দিতে পারি না। আমি বললাম, সেমিনারে তারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে তারা চিরকালের জন্য কর অব্যাহতি চাচ্ছেনও না। তারা বলেছেন, তাদের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেই সূত্র ধরে এবার বাজেটে জানিয়ে দেওয়া হবে কতদিন পর্যন্ত কর অব্যাহতি থাকতে পারে।
[৩] গত সোমবার রাতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] সালমান এফ রহমান বলেন, শুধু কর অবকাশ সুবিধা নয়, পলিসি সুবিধা নিয়ে বিগ ডাটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আপডেটেড প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় খাতে মনোযোগী হতে হবে। সালমান এফ রহমান, আইসিটি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সম্মত
[৫] আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে পোশাকশিল্পের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের সবাই রুট ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজে খুবই সফল। কিন্তু তারা নেক্সট লেভেল নিয়ে চিন্তা করেনি। এখনো তারা প্রতিযোগীদের তুলনায় ভ্যালু এডিশনে পিছিয়ে। পোশাকশিল্পের মতো আপনাদেরও ছোট বাজার নয় গ্লোবাল মার্কেটের বড় বাজারে নজর দিতে হবে।
[৬] অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বেসিসের কমিটিতে তিন ভাগের অন্তত এক ভাগ নারী উদ্যোক্তা থাকা উচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশে যেখানে নারীর ক্ষমতায়ন রোল মডেল, সেখানে কিন্তু আমরা নারী উদ্যোক্তাদের একজনও বেসিসের কমিটিতে দেখছি না। আইন পরিবর্তন করে হলেও আগামীতে অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ নারী প্রতিনিধি উদ্যোক্তা নিশ্চিত করা উচিত।
[৭] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৩০ জুন আইসিটি খাতে করপোরেট ট্যাক্স হলিডের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। যদি আরও পাঁচটি বছর অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো যায়, তাহলে সফটওয়্যার খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন সম্ভব হবে।
[৮] অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসিসের নবনির্বাচিত সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম, রফিকুল ইসলাম রাউলি, এ কে এম ফাহিম মাশরুর, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার প্রমুখ।